• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুই হাজার লোকের হাতে বিশ্বের বেশিরভাগ অর্থ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ২১, ২০২০, ০২:৩১ পিএম
দুই হাজার লোকের হাতে বিশ্বের বেশিরভাগ অর্থ

ঢাকা : বিশ্বের শীর্ষ ধনী ২ হাজার ১৫৩ জন লোক দরিদ্রতম ৪৬০ কোটি লোকের মোট অর্থের চেয়েও বেশি অর্থ ২০১৯ সালে নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে জানিয়েছে অক্সফাম।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতাদের বার্ষিক বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম সম্মেলনের আগে গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অক্সফাম এমনটি জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী নারীরা বিনা বেতনে বা স্বীকৃতি ছাড়াই প্রতিদিন মোট এক হাজার ২৫০ কোটি ঘণ্টা কাজ করছে।

‘টাইম টু কেয়ার’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে অক্সফাম জানায়, তাদের হিসাবে নারীদের মজুরিহীন সেবা কাজ প্রতি বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে অন্তত ১০ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার মূল্য যোগ করছে, এটি প্রযুক্তি শিল্পের যোগ করা মূলের তিনগুণেরও বেশি। অক্সফাম ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী আমিতাভ বেহার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যে অর্থনীতি আমরা দেখছি সত্যিকারভাবে নারীদের মজুরিহীন সেবাই তার অলক্ষ্যে থাকা ইঞ্জিন, আমাদের এখানে নজর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটির পরিবর্তন হওয়া দরকার।

আমিতাভ বেহার বিশ্ব অর্থনীতির অসাম্যের মাত্রা দৃষ্টিগোচর করার জন্য বুচু দেবী নামে ভারতীয় এক নারীর জীবন তুলে ধরেন। তিনি জানান, বুচু দেবী প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা কাজ করেন। তিনি হেঁটে তিন কিলোমিটার দূর গিয়ে সেখান থেকে পানি নিয়ে আসেন, তারপর রান্না করেন, ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করেন এবং নিম্নমজুরির একটি কাজ করেন।

তিনি বলেন, অপরদিকে আপনি দেখেন, দাভোসে জমায়েত হওয়া বিলিওনিয়াররা তাদের ব্যক্তিগত বিমান, ব্যক্তিগত জেট ও বিলাসবহুল জীবনধারা নিয়ে আছেন। এই বুচু দেবী শুধু একজনই নন। ভারতে প্রায় প্রতিদিন এ ধরনের নারীদের সঙ্গে আমার দেখা হয়, আর পুরো বিশ্বজুড়েই এই একই গল্প। আমাদের এটি পরিবর্তন করা দরকার আর নিশ্চিতভাবে এই বিলিওনিয়ারের বাড়বাড়ন্তেরও ইতি ঘটানো দরকার।

এর প্রতিকারের জন্য ধনীদের কর দেওয়া সরকারগুলোর নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন বেহার। ওই করের টাকা পরিষ্কার পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নত মানের স্কুলের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ৩০টিরও বেশি দেশে প্রতিবাদ হচ্ছে। লোকজন রাস্তায় নেমে এসেছে। কী বলছে তারা? তারা এই বৈষম্যকে মেনে নেবে না, তারা এ ধরনের পরিস্থিতিতে আর জীবনযাপন করতে চায় না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!