• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘স্বেচ্ছামৃত্যু’কে স্বীকৃতি দিল নিউজিল্যান্ড


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ৩০, ২০২০, ০৬:৪২ পিএম
‘স্বেচ্ছামৃত্যু’কে স্বীকৃতি দিল নিউজিল্যান্ড

ঢাকা : কানাডা, নেদারল্যান্ডসের পর স্বেচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দিলেন নিউজিল্যান্ডের মানুষ। আগামী বছরেই নতুন আইন। আগামী বছর থেকে মৃতপ্রায় মানুষ ইচ্ছামৃত্যু বেছে নিতে পারবেন।

বিশ্বের অনেক দেশেই ইথেনেশিয়া বা ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে বহু আন্দোলন হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের মূলত দুইটি বক্তব্য। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তারা এবং তাদের পরিবার জানেন যে, কোনো ভাবেই তাদের সুস্থ করা যাবে না। তবুও তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়।

বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। পাশাপাশি মৃতপ্রায় ব্যক্তিকে আরো বেশি শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হয়। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই প্রয়োজন ইচ্ছামৃত্যু। চিকিৎসকদের সাহায্য নিয়ে দ্রুত মৃত্যুর ব্যবস্থা করতে পারলে কষ্ট লাঘব হয়।

আন্দোলনকারীরা যাই বলুন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের আইনই ইচ্ছামৃত্যুকে সমর্থন করে না। নেদারল্যান্ডস, ক্যানাডার মতো খুব সামান্য কিছু দেশে ইচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। নিউজিল্যান্ডেও দীর্ঘ দিন ধরে ইথেনেশিয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল।

সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ভোটের সময় স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে একটি রেফারেন্ডম বা গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়। বৃহস্পতিবার তার ফলাফল মিলেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ ইচ্ছামৃত্যুর পক্ষে। সম্পূর্ণ ফলাফল অবশ্য এখনও মেলেনি।

পোস্টাল ব্যালট গুণে চূড়ান্ত ফল জানাতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা পোস্টাল ব্যালট বর্তমান ফলকে বদলে দিতে পারবে না।

নিউজিল্যান্ডের আইনসভা জানিয়েছে, মানুষের রায় এসে গেছে। এবার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিয়ে আইন তৈরি করতে হবে। আগামী বছরের শেষের দিকে সেই আইন কার্যকর হতে পারে।

অর্থাৎ, আগামী বছরের শেষ থেকে নিউজিল্যান্ডের মানুষ ইচ্ছামৃত্যু বেছে নিতে পারবেন। তবে সকলে নয়। আইনসভা জানিয়েছে, কেবলমাত্র মৃতপ্রায় ব্যক্তিরাই এই আইনের সাহায্য নিতে পারবেন। দুইজন চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করবেন এবং তাদের ইচ্ছামৃত্যুর বিষয়ে সহমত হতে হবে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন দীর্ঘদিন ধরেই ইচ্ছামৃত্যুকে সমর্থন করেছেন। গণভোটের ফলাফলকে সমর্থন করেছেন তিনি।

ইচ্ছামৃত্যুর পাশাপাশি আরো একটি বিষয়ে গণভোট করা হয়েছিল। পরিমিত গাঁজা সেবন বৈধ করা হবে কি না। ৫৩ শতাংশ মানুষ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে, ৪৬ শতাংশ মানুষ পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে পোস্টাল ব্যালটের ফলাফল এই ফল বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!