• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্কে ভয়ানক ভূমিকম্পে নিহত ২৪, আহত ৮ শতাধিক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ৩১, ২০২০, ০৯:০৯ এএম
তুরস্কে ভয়ানক ভূমিকম্পে নিহত ২৪, আহত ৮ শতাধিক

ঢাকা: তুরস্কে শুক্রবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। তুরস্কের বিপর্যয় ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) হতাহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
 
তুরস্কের বাইরে প্রতিবেশী গ্রিসেও কম্পনটি আঘাত হানে। সেখানে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই দেশ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৬।

৩০ অক্টোবর দুপুরে এজিয়ান সাগর উপকূলে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭। কম্পনের তীব্রতায় বহু ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে।

১২টি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আটকেপড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। এর মধ্যে চারটি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইজমিরের গভর্নর ইয়াভুজ সেলিম কসগর। তিনি জানান, ধসে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ৭০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর তুরস্কের উপকূলবর্তী শহর ইজমিরে আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন লোকজন। ইজমিরের মেয়র জানিয়েছেন, শহরের ২০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এটি তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। জনসংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ।

বিপর্যয় ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ইজমিরের উপকূল থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানিয়েছেন, ইজমিরের বেয়ারাকলি ও বোরনোভা জেলায় ছয়টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উসাক, ডেনিজলি, মনিসা, এডেন, মুগলার মতো সংলগ্ন প্রদেশগুলিত সামান্য ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে, সেগুলোতে লোকজনকে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আটকদের বের করে আনার চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে।

গ্রিসের সমগ্র পূর্ব উপকূলে কম্পন অনুভূত হয়েছে। রাজধানী এথেন্সেও কম্পন অনুভূত হয়। গ্রিসের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সামোস ও অন্যান্য দ্বীপের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। সেইসঙ্গে পাথর গড়িয়ে পড়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। তবে গ্রিসের চেয়ে তুরস্কে কম্পনের তীব্রতা বেশি থাকায় দেশটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে।

বোজাজি ইউনিভার্সিটির অবজারভেটরি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অধ্যাপক হালুক এজেনার ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভূমিকম্পের পর ৩ দশমিক ৩ থেকে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার মধ্যে ১৯টি আফটার শক হয়েছে। এসব আফটার শক ১৫ সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী ছিল।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!