• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
সিএনএনের প্রতিবেদন

প্রিন্স সালমানের বিমানে উড়ে গিয়েছিল খাশোগির ঘাতকদল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৯:১৩ পিএম
প্রিন্স সালমানের বিমানে উড়ে গিয়েছিল খাশোগির ঘাতকদল

ঢাকা : সৌদি আরবের প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকারী দল যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি কোম্পানরি প্রাইভেট বিমানে করে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে উড়ে গিয়েছিল। সৌদি সরকারের গোপন নথির তথ্য উল্লেখ করে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন এ খবর দিয়েছে।

‘টপ সিক্রেট’ শিরোনামের এ নথিতে সৌদি আরবের একজন মন্ত্রীর সই রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, স্কাই প্রাইম অ্যাভিয়েশনের মালিকানা ২০১৭ সালে সৌদি আরবের সরকারি বিনিয়োগ তহবিলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে যাতে সার্বভৌম ৪০০ কোটি ডলারের তহবিল রয়েছে। এই কোম্পানির বিমান ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে খাশোগি হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে। 

সার্বভৌম তহবিল নিয়ন্ত্রিত হয় সৌদি রাজ পরিবারের মাধ্যমে; যা সভাপতি হলেন ৩৫ বছর বয়সী যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান। সিএনএন বলেছে, এসব তথ্য থেকে খাশোগি হত্যায় এমবিএস’র যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলে। এমবিএস হচ্ছে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ জুন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যাগনেস ক্যালামার্ডের প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের অনুসারী, একদল সৌদি কর্মকর্তা তারই (বিন সালমান) নির্দেশে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা স্বত্তে¡ও বিভিন্ন সময় তা থেকে সৌদি যুবরাজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করে বিভিন্ন মহল।

প্রতিবেদনের তথ্য মতে, খাশোগিকে হত্যার মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে এই হত্যাকাণ্ডে নিয়োজিত দলটির দু'জন সদস্যের মাঝে কয়েক মিনিটের ফোনালাপ চলে। পরে কনস্যুলেটের ভেতরে স্থাপিত গোপন অডিও রেকর্ডিং ডিভাইজে ধারণকৃত টেপের সাহায্যে তা জাতিসংঘ তদন্ত দলের নাগালে আসে। 

এতে সুনির্দিষ্টভাবেই বলা হয় যে, আলাপরত ওই দুই ব্যক্তির একজন হলেন যুবরাজ বিন সালমানের একনিষ্ঠ সহকারী মাহের আব্দুলাজিজ মুতরেব ও অপরজন হলেন দলটির সঙ্গে থাকা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ সালাহ মুহাম্মদ আবদাহ ত্যুবেইগি। হত্যার পর খাশোগির মরদেহ কিভাবে কনস্যুলেটের বাইরে বহন করা হবে তা নিয়েই এ দু'জনের মাঝে সংক্ষিপ্ত আলাপ চলে বলে তথ্য সূত্রে জানা যায়।

জাতিসংঘের এই বিশেষ হত্যা-তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ এই প্রতিবেদনটিতে এমনই আরো বহু তথ্য-উপত্তা সংযোজিত হয়েছে যা দ্বিধাহীনভাবে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকান্ডের সাথে সৌদি যুবরাজ বিন সালমান ও তার অনুসারীদের পাশাপাশি খুনিদের প্রশ্রয় প্রদানে, সৌদি আরব সরকারের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততাও প্রমাণ করে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!