• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাইডেন-সৌদি বাদশার ফোনালাপ  


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৯:১৬ পিএম
বাইডেন-সৌদি বাদশার ফোনালাপ   

ঢাকা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফোনে সৌদি আরবের বাদশা সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো এই মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের নতুন পদক্ষেপ হিসেবেই তিনি এই ফোনালাপ করেছেন। তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় মার্কিন গোয়েন্দা তদন্ত রিপোর্ট দেখেই এই ফোনালাপ করেন বাইডেন। ওই রিপোর্টে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অভিযুক্ত হতে পারেন বলে জানা গেছে।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ফোনালাপে তিনি বৈশ্বিক মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুত্বের বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করেছেন। যদিও হোয়াইট হাউজের পাঠানো বিবৃতিতে খাশোগির নামের উল্লেখ দেখা যায়নি।  সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সৌদি-আমেরিকান অ্যাক্টিভিস্ট মিস. লওজেইন আল-হাথলওলের মুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি তিন বছর আটক থাকার পরে এই মাসেই ছাড়া পেয়েছেন। তবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও গণমাধ্যমে কথা না বলার শর্তে। ফোনে বাইডেন বৈশ্বিক মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুত্বের বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করেছেন।

পাশাপাশি দুই নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যকার দীর্ঘকালীন অংশীদারিত্ব নিয়ে এবং ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলিও সৌদি আরবকে দেওয়া হুমকি নিয়ে কথা বলেছেন।
বাইডেন বাদশাকে বলেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যতটা সম্ভব শক্ত ও স্বচ্ছ করার চেষ্টা করবেন। দুই নেতা সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রকৃতি নিশ্চিত করেছেন এবং পারস্পারিক উদ্বেগ ও আগ্রহের বিষয়গুলোতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৌদি আরবের অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি সৌদি রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একজন কড়া সমালোচক ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৮ শে অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। তুরস্কের অভিযোগ, এই অভিযানে রিয়াদ থেকে প্রেরিত ১৫ জন এজেন্ট জড়িত। তবে সৌদি সরকার তা অস্বীকার করে শুরু থেকে।

প্রথম দিকে সৌদি সরকার অস্বীকার করলেও, পরে সৌদির পক্ষ থেকে কনস্যুলেটের ভেতরে ধস্তাধস্তির সময়ে খাশোগি নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করা হয়।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে হত্যার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন: যেহেতু আমার শাসনামলে এ ঘটনা ঘটেছে, তাই হত্যাকাণ্ডের দায় আমার। তবে এ হত্যাকাণ্ড তার অজান্তেই যে ঘটেছে সে কথাও উল্লেখ করেন যুবরাজ সালমান। এই হত্যার দায়ে পরে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে কারাদণ্ড দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!