• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসছেন জান্তা প্রধান


নিউজ ডেস্ক আগস্ট ১, ২০২১, ০৯:৪৬ পিএম
মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসছেন জান্তা প্রধান

ঢাকা: মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে উৎখাতের ছয় মাসের মাথায় জান্তা সরকার নিজেদের এখন স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল বলে থাকে।

মিন অং হ্লাইংকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের (কেয়ারটেকার সরকার) প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে সেনাশাসনের সময় আরও দুই বছর বাড়িয়ে দেওয়া হলো। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় বসে সামরিক জান্তা। তারা সু চির বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনে। তবে ওই অভিযোগ নাকচ করে দেয় মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে দেশটিতে শুরু হয় সামরিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে ভিন্নমত দমন করতে ৯৩৯ জনকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে দ্য অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস। এ ছাড়া ৬ হাজার ৯৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি দেশটিতে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের অংশ হিসেবে অনেক চিকিৎসক হাসপাতাল ছেড়েছেন। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটির অর্থনীতি ১৮ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। টেলিভিশন ভাষণে মিন অং হ্লাইং বলেছেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে আমরা দেশের জরুরি অবস্থা তুলে নেব। কোনো রকম ব্যর্থতা ছাড়াই এই সময়ের মধ্যে বহুদলীয় নির্বাচন আয়োজন করব।’

এএফপি জানিয়েছে, জান্তা প্রধানের এই ঘোষণা মিয়ানমারকে আরও অন্তত দুই বছর সেনাবাহিনীর দখলে রাখবে। এর আগে ক্ষমতা দখলের সময় এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমতা দখলের বিষয়টিকে বৈধতা দিতে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে। দলটিকে বিলুপ্ত করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে জান্তা। দাবি করা হয়, ওই নির্বাচনে ১ কোটি ১০ লাখ ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!