• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ায় নির্বাচনে জয়ের পথে পুতিনের দল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ০৩:০৯ পিএম
রাশিয়ায় নির্বাচনে জয়ের পথে পুতিনের দল

ভ্লাদিমির পুতিন

ঢাকা : রাশিয়ায় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার পথে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া। তবে ভোটে বিরোধীদের আটক করা, ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগণনা এখনো চলছে। তিনদিনের এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয় গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর)। গতকাল রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভোটপর্ব শেষ হয়। তবে এই ভোটগ্রহণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। পুতিনের কট্টর বিরোধীদের ভোটে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

রাশিয়ার পার্লামেন্ট ডুমার ৪৫০টি আসনের জন্য এই নির্বাচনে মোট ১৪টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। তার মধ্যে ইউনাইটেড রাশিয়া পেয়েছে ৪৬ শতাংশ ও কমিউনিস্ট পার্টি ২১ শতাংশ।

এদিকে ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর ইউনাইটেড রাশিয়ার নেতারা জানিয়ে দিয়েছিলেন তারাই জয়ী হবেন। সরকারি টেলিভিশন দেখিয়েছে, ইউনাইটেড রাশিয়ার নেতারা তাদের সমর্থকদের অভিবাদন গ্রহণ করছেন এবং দাবি করছেন- এটা পুরোপুরি অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট ছিল।

রাশিয়ার পার্লামেন্টে ভোটগ্রহণের সময় পুটিনের কট্টর বিরোধী আলেক্সেই নাভালনি জেলে ও তার দলকে ভোটে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। অভিযোগ করা হয়েছে, তারা চরমপন্থি। নাভালনির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোনো নেতা বা দলকে ভোটে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।

ইউনাইটেড রাশিয়া বাদ দিয়ে ১৩টা দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তারা কেউই জোরদার বিরোধী নয়।

অভিযোগ, বিরোধীরা ভালোভাবেই ভোটের ময়দানে আছে এটা বোঝাতেই ওই দলগুলোকে ভোটে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

নাভালনি তার ব্লগে লিখেছেন, যদি ইউনাইটেড রাশিয়া জিততে পারে, তাহলে আরো পাঁচ বছরের জন্য রাশিয়া দারিদ্রে ডুবে থাকবে, আরো পাঁচ বছর চলবে দমন, নিপীড়ন।

নাভালনির বন্ধুরা ইনস্টাগ্রামে আবেদন করে বলেছিলেন, আজই হচ্ছে সেই দিন, যখন আপনাদের রায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

তবে ক্রেমলিন জানিয়েছেন, বিরোধীদের ভোটে অংশ না নিতে দেয়ার প্রচারটা পুরোপুরি মিথ্যা। কিছু নেতা আইন ভেঙেছিলেন, তাই তারা শাস্তি পেয়েছেন, এটাই আসল কথা।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ৭৫০টি অভিযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ভোটের ফল বদলে দেয়ার মতো গুরুতর কোনো অভিযোগ পাননি।

কিন্তু ভোট পর্যবেক্ষক সংস্থা গোলোস অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, তাদের তালিকায় তিন হাজার ৬০০টি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি অভিযোগের ছবি বা ভিডিও আছে। বহু জায়গায় প্রার্থী ও পর্যবেক্ষকদের অধিকারভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে।

কেজিবির সাবেক কর্মকর্তা পুতিন আগামী মাসে ৬৯ বছরে পা দেবেন। তার বর্তমান মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হবে। তিনি পুনরায় নির্বাচন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!