• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ ও উপসর্গ 


লাইফস্টাইল ডেস্ক মে ২৭, ২০২২, ০৭:১২ পিএম
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ ও উপসর্গ 

ঢাকা: করোনার পর বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। এই ভাইরাস ঠেকাতে পরীক্ষামূলক টিকা আনার ঘোষণা দিয়েছে মডার্না। 

মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষা চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাঙ্কিপক্স গুটি বসন্তের মতোই একটি অসুখ। এটি একটি বিরল রোগ। এই অসুখ প্রথমবার দেখা যায় ১৯৫৮ সালে। তবে, মানুষের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ প্রথমবার দেখা যায় ১৯৭০ সালে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঠবিড়ালী, ইঁদুর, বানরসহ তীক্ষ্ণ দাঁতের পশু থেকে বেশি ছড়ায় মাঙ্কিপক্স। এই ভাইরাসের দুটি স্ট্রেইন আছে। কঙ্গো বেসিন স্ট্রেইন পশ্চিম আফ্রিকার স্ট্রেইনের চেয়ে মারাত্মক। তবে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে বিবেচিত হচ্ছে। আশার কথা হলো, এই রোগে আক্রান্ত রোগী বাংলাদেশে এখনও শনাক্ত হয়নি। 

এই রোগের বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাঙ্কিপক্সে জ্বরজনিত অসুখের সঙ্গে ঠান্ডা লাগা, ঘাম, প্রচন্ড মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, ফ্যারিঞ্জাইটিস, শ্বাসকষ্ট এবং কাশি হয়ে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জ্বরের পর ২-৩ দিনের মধ্যে ঘাড়ের চারদিকে এটি দেখা যায়। ১ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ফুঁসকুড়ি তৈরি হয়। ফুঁসকুড়ি প্রায়ই মুখে শুরু হয়, তারপর ছড়িয়ে পড়ে শরীরের বাকি অংশে। এটি ২ থেকে ৪ সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। মুখমণ্ডল, শরীর, হাত-পা এমনকি মাথার ত্বকেও ফুঁসকুড়ি হতে পারে। 

হাতের তালু এবং পায়ের পাতায়ও ক্ষত দেখা দিতে পারে। এগুলো ব্যথাহীন। যদি ব্যথা থাকে তাহলে এটি সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হতে পারে। চুলকানিও থাকতে পারে। হেমোরেজিক এবং ফ্ল্যাট ফর্ম, যা গুটিবসন্তের সঙ্গে দেখা যায়, মাঙ্কিপক্সের রোগীদের ক্ষেত্রে সেটা দেখা যায় না।  

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!