• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না এই ৭ ধরনের ক্যান্সার


লাইফস্টাইল ডেস্ক জুন ১৬, ২০২২, ০৭:২২ পিএম
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না এই ৭ ধরনের ক্যান্সার

ঢাকা: পৃথিবীতে প্রতি বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। অনেকে বলে, ক্যান্সার হ্যাজ নো অ্যানসার, কিন্তু ক্যান্সারে আক্রান্তকেও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। তবে, তার জন্য রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু এমন কিছু ক্যান্সার রয়েছে যেগুলি প্রাথমিক পর্যায় শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। 

কিডনির ক্যান্সার: 
উপসর্গগুলি হল পিঠের নীচের দিকে যন্ত্রণা, সারাক্ষণ ক্লান্তি ভাব, আচমকা ওজন অস্বাভাবিক কমে যাওয়া এবং মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত। 

অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার: 
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সারা দেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। কিন্তু ব্রেস্ট ক্যান্সারের তুলনায় এতেই বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার বা প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারে শনাক্ত করা বেশ কঠিন। কারণ, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও সাধারণ জন্ডিসের মতোই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রাথমিক ভাবে তেমন ব্যথা হয় না, তেমন কোনও উপসর্গও প্রকাশ পায় না।

সার্কোমা ক্যান্সার: 
শরীরের বিভিন্ন টিস্যু যেমন পেশী, চর্বি, ত্বকের গভীরের কোষ, হাড় বা তরুনাস্থিতে বাসা বাঁধে সার্কোমা ক্যান্সার। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যান্সারের তেমন কোনও উপসর্গ প্রকাশ পায় না। সাধারণত, শিশুদের মধ্যেই এহেন ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। এই ক্যান্সার সাধারণত দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ের পর বায়োপসির মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। কিন্তু অন্য কোনও পরীক্ষার মাধ্যমে সার্কোমা ক্যান্সার শনাক্ত করা যায় না। 

ফুসফুসের ক্যান্সার: 
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই  ফুসফুসের ক্যান্সার বা লাং ছড়িয়ে পড়ার পড়েই ধরা পড়ে। তেমন কোনও বিশেষ উপসর্গও থাকে না। শুধু তাই নয়, চেস্ট এক্সরেতে ও ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে না। পিইটি বা সিটি স্ক্যানে একমাত্র ধরা পড়তে পারে। 

জরায়ুর ক্যান্সার: 
মহিলারা যত রকমের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ জরায়ুর ক্যান্সার বা ওভারিয়ান ক্যান্সার। কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায়। কারণ, প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনও উপসর্গ থাকে না। সাধারণত, তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ের পর ওভারিয়ান ক্যান্সার ধরা পড়ে। 

লিভার ক্যান্সার: 
একেবারে শেষের দিকে উপসর্গ বোঝা যায় বলে লিভার বা যকৃতের ক্যান্সার শনাক্ত করা কঠিন। লিভারের বেশিরভাগ অংশই পাঁজরের নীচে ঢাকা থাকে। যাদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে বা লিভার সিরোসিস রয়েছে, তাদের লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। 

ব্রেন টিউমার: 
মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ডের টিউমার শনাক্ত করা যায় তখনই যখন তার উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়। যেমন, হাত কাঁপা, মাথাব্যথা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, ব্যক্তিত্বে সূক্ষ্ম পরিবর্তন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্তরা উপসর্গগুলিকে তেমন একটা গুরুত্ব দেন না। সাধারণত এমআরআই বা মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান ছাড়া ব্রেন ক্যান্সার ধরা পড়ে না।
 
সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!