• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
একরাম আজাদের তিনটি কবিতা

ইতিহাসের যাবতীয় বিপ্লবী—পরমপিতা


একরাম আজাদ জুলাই ২৫, ২০২১, ০৬:৪৭ পিএম
ইতিহাসের যাবতীয় বিপ্লবী—পরমপিতা

ছবি (প্রতীকী)

কেটে যায় পৃথিবীর ঋতু

এ কোথায় এনে ত্যাজ্য করলেন ঈশ্বর? 

ছিনালের মতন বারবার পুরুষ পালটে চলেছে নীতির নারী
—আরাধ্য প্রেমিকা আমার
মদের বোতল আর বেশ্যার বোঁটায় মুখ গুঁজে বুঁদ হয়ে আছে 
ইতিহাসের যাবতীয় বিপ্লবী—পরমপিতা
আর কলিকালের কলি হয়ে এক বৃন্তে ফুটে আছে
মা ও মাগি!

এবং রাষ্ট্র—মহামান্য রাষ্ট্র আমার 
সমুদয় সদগুণ আত্মস্থ করে আমাকে বানিয়ে তুলেছে ব্রোথেলের নিষিদ্ধ ক্লাউন!


স্বমৈথুন

এই যে এত এত সন্ধ্যা 
নিখাদ নীরবতায় ভাতঘুমের বিষণ্ণ দুপুরদের 
বাতিল ঘোষণা করে অচ্ছেদ্য মায়ার কোল পেতে দেয়,
একজন নিষিদ্ধ প্রেমিকের তাতে মূলত কী আসে যায়?

যারা পৃথিবীকে বস্তুত প্রেয়সীর তলপেটের তুলনায় আনে 
এবং ছলছল তাবৎ নদীকে মনে করে রসিক যোনি
এসব শিশির-সকাল 
হাওয়াময় মাঠ-দুপুর
মোলায়েম ধানখেত-বিকেল
বা ধ্রুপদি সান্ধ্য ঘ্রাণ 
তাদের কতটুকু জাগাতে সক্ষম শরীরের নুন—এই রমণীহীন ব্যর্থ রমণে? 


তলপেটের ক্ষুধা 

‌‌‘পতিতাবৃত্তি অবৈধ’—ঘোষণা দিয়ে 
সংবিধান যখন আমার জৈবিকতাকেই খোদ নিষিদ্ধ করে দিলো
মানবজন্মকে পাপ বিবেচনায় রেখে আমি অনশনের ডাক দিয়েছিলাম 

এক এক করে ধারাপাতের চব্বিশতম বছর 
নিষিদ্ধ পিঞ্জরে বন্দি থেকে আমি উদযাপন করেছি পৃথিবীর পাপ
আর কল্পনায় এঁকেছি 
ঠিক কীভাবে সিংহাসনে বসে রাজবেশ্যার স্তন চুষছে মহামান্য রাষ্ট্রনীতি

যৌবনের পঁচিশতম শীত যখন অতিক্রান্ত 
অবশেষে কবিতারই তলপেটে নিষ্কৃতি খুঁজতে গিয়ে দেখি
সমুদয় মুক্তি ভাঁজ হয়ে সেঁটে আছে কুমারীর গোপন স্থবিরতায়!

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!