• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাউল কিংবদন্তি শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ দিবস


সাহিত্য-সংস্কৃতি ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ১২:৩৮ পিএম
বাউল কিংবদন্তি শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ দিবস

ছবি : বাউল কিংবদন্তি শাহ আবদুল করিম

ঢাকা: ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ অথবা ‘গাড়ি চলে না চলে না’ বর্তমান সময়ের তরুণদের কাছে খুবই জনপ্রিয় দুটি গান। কোথাও বন্ধুরা একসঙ্গে আড্ডা দিলেই গলা ছেড়ে এই গান গেতে সবাই পছন্দ করেন। শুধু তাই নয় ‘বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে’ অথবা ‘রঙ এর দুনিয়া তরে চায় না’ এই সব বাউল গান অবসর সময়ে বা একাকীত্বের মধ্যে অজান্তে গুনগুনিয়ে গেয়ে উঠেন আনমনে। আর এই গানগুলোর স্রষ্টা হলেন শাহ আবদুল করিম। যাকে বলা হয় বাংলা বাউলগানের একজন কিংবদন্তি। আজ এই কিংবদন্তির শিল্পীর প্রয়াণ দিবেস।

শাহ আবদুল করিম গানে গানে বলেছেন ভাটি অঞ্চলের জল-বায়ুর কথা। তেমনি বলেছেন, মাটি-মানুষের সুখ-দুঃখ, দারিদ্র্যতা, অবিচার, কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা। তিনি ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ধল-আশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিলো ইব্রাহীম আলী ও মাতার নাম নাইওরজান। দারিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু সেই ছেলেবেলা থেকেই।

শাহ আবদুল করিম তার দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে গান লিখেছেন ও সুর করে গেয়েছেন প্রায় ১৬ শতাধিক । সে গানগুলোর মধ্যে যেমন ছিলো বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের পসরা তেমনই ছিলো ভাটিয়ালি গান। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ ‘আমি কূলহারা কলঙ্কিনী’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’, ‘বসন্ত বাতাসে সইগো’সহ প্রভৃতি।

বাউল শাহ আবদুল করিমের এ পর্যন্ত গানের বই প্রকাশিত হয়েছে ৭টি। এগুলো হলো- ‘আফতাব সঙ্গীত’, ‘গণসঙ্গীত’, ‘ধলমেলা’, ‘কালনীর ঢেউ’, ‘ভাটির চিঠি’, ‘কালনীর কূলে’ ও ‘অমনিবাস’।

২০০১ সালে বাউল শাহ আব্দুল করিম একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি কথাসাহিত্যিক আবদুর রউফ চৌধুরী পদক, রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার, খান বাহাদুর এহিয়া পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননাসহ বিভিন্ন পদকে ভূষিত হন।

এই কিংবদন্তি শিল্পী ২০০৯ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!