• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘নব আনন্দে জাগো’


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৪, ২০২২, ১০:২৯ এএম
‘নব আনন্দে জাগো’

ঢাকা: করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার বর্ষবরণের উৎসব ফিরেছে সেই পুরনো আমেজে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজন, আর চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে নতুন বাংলা বছর।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৬টার পর বেহালা, সেতার, বাঁশি ও এসরাজসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের শব্দ দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসব। এরপর সম্মিলিত কণ্ঠে ছায়ানটের শিল্পীরা রবীন্দ্রসংগীত ‘মন, জাগ মঙ্গললোকে’ গানের মধ্য দিয়ে নতুন বঙ্গাব্দ ১৪২৯–কে স্বাগত জানান।

এবারের মূল প্রতিপাদ্য- ‘নব আনন্দে জাগো’। এর ওপর ভিত্তি করে পুরো অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে। ছায়ানটের ৮৫ জন শিল্পী বর্ষবরণ উৎসবে অংশ নেন। ২০১৯ সালে সর্বশেষ তারা রমনার বটমূলে বসেছিলেন। দুই বছরের বিরতির পর আবারও চেনা জায়গায় ফিরল সংগঠনটি। এ সময় মঞ্চের সামনে বসে অনেক দর্শককে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা গেছে। তাদের অনেকেই সুর ধরেছেন গানের তালে তালে।

আয়োজনে রয়েছে মোট ৩৭টি গান-কবিতা। প্রতিপাদ্যের ওপর ভিত্তি করে একক, সম্মেলক গান, অন্যান্য গান ও কবিতা সাজানো। শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে দুই ঘণ্টার এই আয়োজন সাজানো হয়েছে। যা ভোর সোয়া ৬টায় শুরু হয়ে শেষ হয়েছে সকাল সাড়ে ৮টায়। 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অতুলপ্রসাদ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন, লালন শাহ্, মুকুন্দ দাস, অজয় ভট্টাচার্য, শাহ্ আবদুল করিম, কুটি মনসুর, সলিল চৌধুরীর রচনা থেকে পুরো আয়োজনটি সাজানো। যার শেষে ছিল জাতীয় সংগীত। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়েছে ছায়ানট-সভাপতি সন্‌জীদা খাতুনের শুভেচ্ছা কথন দিয়ে।

দুই বছর বিরতির পর রমনা বটমূলের আয়োজনে হাজির হয়েছেন সংস্কৃতিপ্রাণ মানুষ। ভোর থেকেই তারা ক্রমশ জড়ো হতে থাকেন রমনার বটমূলে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!