পাবনায় গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রাণনাশের হুমকি, ঠিকাদারসহ গ্রেপ্তার ২

  • পাবনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
পাবনায় গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রাণনাশের হুমকি, ঠিকাদারসহ গ্রেপ্তার ২

ছবি : প্রতিনিধি

পাবনা: বিভিন্ন সরকারি ঠিকাদারি কাজ অনৈতিক ও অবৈধভাবে না পেয়ে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।  

এ ঘটনায় মামলার পর এক ঠিকাদারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১০ মে) রাতে তাদেরকে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে গত বুধবার (৮ মে) দুপুরে পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর রুমে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিনই র‌্যাব-১২ কে লিখিতভাবে জানান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। পরে শুক্রবার (১০ মে) পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাবনা পৌর এলাকার চক গোবিন্দার চাঁদমারি এলাকার জামাল উদ্দিন তোতনের ছেলে ঠিকাদার রোকনুজ্জামান তুষার ও তার সহযোগী কালাচাঁদপাড়া মহল্লার নুরুল ইসলামের ছেলে আকাশ হোসেন। 

অন্য পলাতক আসামিরা হলেন, পাবনা পৌর এলাকার চকছাতিয়ানি মহল্লার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রাজিবুল হাসান রাজিব এবং কৃষ্ণপুর মহল্লার মৃত মোহন বিশ্বাসের ছেলে রনা বিশ্বাসসহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (৮ মে) পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের কক্ষে মিটিং করছিলেন পাবনা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা। দুপুর একটার দিকে হঠাৎ করে রাজিব ও তুষারের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন সেখানে প্রবেশ করে গণপূর্তের বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন এবং অনৈতিকভাবে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ দাবি করেন। 

দাবি না মানায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করেন। এসময় অন্যান্য প্রকৌশলীরা বাঁধা দিলে তাদের সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান তারা। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে শুক্রবার (১০ মে) রাতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই মামলার পরপরই তাদের অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও মামলার বাদী আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘তারা ঠিকাদার (রাজি-তুষার), ঠিকাদারি কাজ করেন। সেদিন যা ঘটেছিল তা থানায় দেয়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বাইরে কিছু নেই।’

এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, 'অভিযোগের পর মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে রোকনুজ্জামান তুষার ও আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান অব্যাহত রয়েছে, বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আনা হবে।'

এ বিষয়ে কথা বলতে শনিবার দুপুরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় অভিযুক্ত ঠিকাদার রাজিবুল হাসান রাজিবের সাথে। কিন্তু তিনি পলাতক থাকায় তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এস/এসআই

Link copied!