বাঁচতে চায় তাওহিদ, সহযোগিতার আকুতি পরিবারের

  • হিলি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
বাঁচতে চায় তাওহিদ, সহযোগিতার আকুতি পরিবারের

হিলি: বাবা পেশায় দিনমজুর আর মা গৃহীনি। অন্যের বাড়িতে থেকে এভাবেই চলে তাদের কষ্টের সংসার। নিজের সম্বল বলতে কিছুই নেই তার। একমাত্র ছেলে তাওহীদকে নিয়েই তাদের পথচলা। সেই ছেলে বর্তমান এক অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে গিয়েও মিলছেনা সঠিক রোগের খবর। তাই ছেলেকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহির দেশে নিয়ে যাওয়ার আশা তাদের। কিন্তু যা টাকা পয়সা ছিল তা এতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, তাই সবার কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন যদি কেউ তাদের আর্থিক সহযোগিতা করেন তাহলে ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা করে সুস্থ্য করার আশা পরিবারটির।

সীমান্তবর্তী উপজেলা হিলির মাঠপাড়া এলাকার ইমরান আলী, ছোট্ট পরিবারে প্রথম সন্তান হিসেবে জন্ম নেয় তাওহিদ ইসলাম। এক সন্তানের জনক ইমরান ও দুলারী রানীর সংসার ভালোই চলছিলো।

তাওহিদের বাবা মা বলেন, ছেলে তাওহিদ ৬ বছর পর্যন্ত ভালোই ছিল কিন্তু ১ বছর থেকে হঠাৎ করে পরিবারে নেমে আসে দুঃখের ছায়া, অজানা রোগে আক্রান্ত হয় একমাত্র সন্তান তাওহিদ। ৭ বছর বয়সী সন্তান হাঁটাচলা ও কথা বলার কথা থাকলেও তার শৈশবের সবকিছু অজানা রোগে থমকে রয়েছে মায়ের কোলে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় দীর্ঘদিন ধরে মায়ের কোলে শৈশব কাটছে তার। বিভিন্ন জায়গায় ছুটাছুটি করেও মিলেনি রোগের লক্ষন। তাই সেই সন্তানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে চান ভারতে। কিন্তু টাকার অভাবে নিয়ে যেতে পারছেন না তাকে এবং চিকিৎসার অভাবে বিছানায় মৃত্যুর সাথে পানজা লড়ছেন সেই তাওহীদ। নিজের শেষ সম্পদটুকু বিক্রি করেও যখন মিলেনি সন্তানের সুস্থতা তখন সন্তানকে বাঁচাতে বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আকুতি এই দম্পতির।

হাকিপুর সাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিক্যাল অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, এতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন তাওহিদেও মা বাবা এমনকি অনেক রিপোটও করিয়েছেন তারা। তবে ছেলেটিকে যদি উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয় হয়তোবা ছেলেটি তার আগের মতো সুস্থ্য ও চলাফেরা করতে পারবেন।

এদিকে কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, এক সময় শিশুটি খেলাধুলা করতো, চলাফেরা করতো, ছোট থেকে ভালভাবেই চলছিল তার জীবন কিন্তু হঠ্যাৎ করে অসুস্থ্য হয়ে মায়ের কোলে ঢলে পড়তে শুরু করলো শিশু তাওহিদ। সন্তানের চিকিৎসার জন্য সব টাকা পয়সা জমিজমা শেষ করে ফেলেছে তার মা বাবা। তারপরও শিশুটি সুস্থ্য হয়ে ওঠেনি। তার বর্তমান উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন কিন্তু টাকা পয়সা না থাকার কারনে তার বাবা চিকিৎসা করতে পারছেনা। যদি কোন বিত্তবাণ ব্যাক্তি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতেন তাহলে হয়তো ছেলেটি আবার স্বাভাবিক জিবনে ফিরে আসতে পারতো।

উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, উপজেলা প্রশাসেনর পক্ষ থেকে কিছু সহযোগিতা করা হয়েছে, তারপরও যদি সবাই তাকে সহযোগিতা করা হয় তবে আমার মনে হয় ছেলেটি তার মা বাবার কাছে আবার ফিরে আসতে পারে। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বাচঁতে পারে তাওহীদের প্রাণ সেই সাথে শিক্ষার জন্য স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি খেলার সাথীদের সাথে আবারো ফিরবে খেলা মাঠে এমন প্রত্যাশা ।

সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা:-
০১৭৯১৯৪১১০৯ (বিকাশ ও নগদ)

এমএস

Link copied!