ঈশ্বরদীতে শীতের আমেজ, দোকানপাটে সাজছে সোয়েটার ও জ্যাকেট

  • ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
ঈশ্বরদীতে শীতের আমেজ, দোকানপাটে সাজছে সোয়েটার ও জ্যাকেট

ছবি: প্রতিনিধি

ঈশ্বরদীতে হালকা শীতের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ভোরবেলা এবং সন্ধ্যা রাতে বাতাসে হালকা ঠান্ডার ছোঁয়া অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিন তাপমাত্রা প্রায় দুই ডিগ্রি কমছে। শহরের রাস্তায় মানুষকে পাতলা সোয়েটার বা জ্যাকেট পরে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার তা ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং শুক্রবার ২২ দশমিক ৩ ডিগ্রি। আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন জানান, গত তিনদিন ধরে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে।

নভেম্বরের শুরুতেই এই ঠান্ডার ইঙ্গিত বুঝে নিয়েছে পোশাক ব্যবসায়ীরা। শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও হাটবাজারে শীতের পোশাক সাজাতে শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, এখনও বিক্রি পুরোপুরি জমে ওঠেনি। আবহাওয়া পুরোপুরি ঠান্ডা না হওয়ায় ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন।

বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা চলতি সপ্তাহ থেকেই দোকানে সোয়েটার, জ্যাকেট আর উলের টুপি তুলেছি। কিন্তু ক্রেতা এখনো খুব একটা আসছে না। সকালেই ঠান্ডা থাকে, কিন্তু দুপুরে আবার গরম পড়ে যায়। আশা করি নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বিক্রি বাড়বে।’

জাকের প্লাজার দোকানদার আসলাম আলী বলেন, ‘গত বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই বিক্রি শুরু হয়েছিল। এবারও একই রকম হবে মনে হচ্ছে। এখন শুধু মানুষ দেখে যাচ্ছে, দাম জিজ্ঞেস করছে, কিনছে না। শীত নামলেই বাজারে জোয়ার আসবে।’

মনির প্লাজার তরুণ ব্যবসায়ী আরিফুল রহমান জানান, ‘আমরা নতুন ডিজাইনের সোয়েটার ও জ্যাকেট এনেছি, বিশেষ করে তরুণদের জন্য। দামও তুলনামূলক কম, ৭০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের সোয়েটার পাওয়া যাচ্ছে। তবে মানুষ এখনও দেখেই যাচ্ছেন।’

ক্রেতারা শীতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গৃহিণী নাজমুন নাহার বলেন, ‘শীত এখনো পড়েনি, তবে বাচ্চাদের জন্য আগেভাগে কিছু কিনতে এসেছি। সকাল বেলায় স্কুলে যাওয়ার সময় ঠান্ডা লাগে, তাই হালকা সোয়েটার কিনছি।’ শিক্ষার্থী সামিয়া ইসলাম বলেন, ‘নতুন ডিজাইনের জ্যাকেট আর হুডি দেখতে এসেছি, দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে, তাই ভেবে দেখছি।’

দোকানদাররা বলেন, তারা আগেভাগেই স্টক নিয়ে রাখেন যাতে হঠাৎ ঠান্ডা পড়লে বিক্রির সুযোগ হাতছাড়া না হয়। পাইকারদের চাহিদা অনুযায়ী জ্যাকেট, সোয়েটার, মোজা, টুপি, কম্বল ইত্যাদি আগেভাগেই তোলা হয়েছে।

তবে ক্রেতারা দাম তুলনামূলক বেশি মনে করছেন। গত বছরের তুলনায় অন্তত ১০-২০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। আবেদা সুলতানা বলেন, ‘গত বছর যেটা ৬০০ টাকায় কিনেছিলাম, এবার ৭৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।’

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাতের তাপমাত্রা আরও ধীরে ধীরে নামবে। এই প্রেক্ষাপটে দোকানদাররা শীতের পোশাক সাজাচ্ছেন। দোকানপাটে চলছে বিদেশি জ্যাকেট থেকে শুরু করে স্থানীয় উলের সোয়েটারের সমাহার। রঙ, নকশা আর সাজে যেন আগাম শীতের বার্তা মেলে।

এসএইচ 

 

Link copied!