টেকনাফে লবণের মণ ১৮০ টাকা

  • কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ১০:১২ পিএম
টেকনাফে লবণের মণ ১৮০ টাকা

কক্সবাজার : সারাদেশে চলছে লবনের মূল্য বৃদ্ধির গুজব। অপরদিকে উৎপাদন খরচের বিপরীতে লবণের মূল্য অনেক অস্বাভাবিক কম হওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফসহ পুরো জেলায় হাজার হাজার মেট্টিক টন লবণ এখনো অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে লবণ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা। মালিকরা এসব লবণ মাঠের আশে পাশে রাস্তার ধারে মজুদ করে রেখেছেন।

সংশ্লিষ্টরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গেল ২ মৌমুসের লবণ এখনো অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে। টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের দু’পাশে অবিক্রিত লবণ মওজুদ করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে দেখা যায়‌।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) সূত্র জানায়, গত মৌসুমে কক্সবাজারে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্টিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। বিক্রির পর বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে সাড়ে ৪ লাখ মেট্টিক টন লবণ অবিক্রিত আছে। লবণ নিয়ে পরিস্থিতি এমন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, খোদ কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা লবণ চাষে আগ্রহ হারাতে বসেছেন। কম মূল্যের কারণে হাজার হাজার মেট্টিক টন লবণ সেখানে অবিক্রিত অবস্থায় মাঠে পড়ে আছে।

জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি মণ লবণের মূল্য ১৮০ টাকা। এই হিসাবে প্রতি কেজি লবণের দাম পড়ে সাড়ে ৪ টাকা। প্রতিমণ লবণ উৎপাদনে কৃষকের খরচ পড়েছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। 

টেকনাফের লবণ ব্যবসায়ী মীর কাশেম জানান, উৎপাদনের চেয়ে মূল্য কম হওয়ায় বিগত মৌসুমের ১৫ টন লবণ অবিক্রিত পড়ে আছে। খরচ না পোষালে কিভাবে লবণ ব্যবস্যা করব? প্রতি বছর লোকসান দিয়ে এভাবে ব্যবসা করা যায় না।

টেকনাফের সাবরাং, হ্নীলা, ও হোয়াইক্যংয়ের লবন ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ন্যায্য মূল্য পাওয়ার আশায় গত মৌসুমে লবণ জমিয়ে বড় ধরণের ভূল করেছি। লবণ চাষ করে বর্তমানে লাখ লাখ টাকার ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। উৎপাদন খরচের চেয়ে মূল্য কম হওয়ায় লোকসান হচ্ছে বিধায় ওই লবণ এখনো জমা রেখেছেন। পরবর্তী মৌসুম চলে আসার সময় হলেও ব্যবসায়ীরা লবণ বিক্রি করতে পারছেন না। তিনি লবণের ন্যায্য মূল্য বৃদ্ধির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিসিক টেকনাফের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, লবণ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই। মূল্য কম হওয়ায় টেকনাফেও ১৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ অবিক্রিত আছে।

বিসিক কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ছৈয়দ আহমদ জানান, বিশেষ একটি শ্রেণী ফায়দা লুটিয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। মূল্য না থাকায় শুধু কক্সবাজারসহ পুরো দেশে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন লবণ অবিক্রিত পড়ে আছে বলেও জানান ডিজিএম ।

এএস
 

Link copied!