রাতের আঁধারেই অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে সাবাড়

  • গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০, ০৬:৫২ পিএম
রাতের আঁধারেই অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে সাবাড়

ছবি: প্রতিনিধি

গোলাপগঞ্জ (সিলেট) : এ যেন গাছের সাথেই শত্রুতা! রাতের আঁধারেই অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে আছিয়া বেগমের স্বামী শাহ আলম গংরা। সবুজ চাঁদরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলোর গত শনিবারের দৃশ্য আর অমানিশার রাত পেরিয়ে ভোর হতেই দেখা যায় ভিন্ন এক দৃশ্য।অর্ধ শতাধিক সবুজ গাছ মাথা নুয়ে যেন অশ্রু ঝরাচ্ছে অঝর ধারায়।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড় এলাকায়।

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় শাহ আলমের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৫০), মৃত বদিউর রহমানের ছেলে শাহ আলম (৬০) সহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ কে দায়ী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রায়গড় গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে মক্তার আলী(৭৩)।

গত শনিবার স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোক্তার আলীর জমিতে কয়েক বছর আগে প্রায় শতাধিক গাছ লাগিয়ে সেগুলোকে যত্ন-পরিচর্যা করে অনেক বড় করে তোলেন এবং পুরো এলাকায় একটি অভূতপূর্ব সবুজের সমারোহ তৈরী হয়। কিন্তু ঘটনার রাতে আছিয়া বেগমের স্বামী শাহ আলমসহ অজ্ঞাত কয়েকজন তার যত্নে বড় করা জলপাই, সুপারী, কামরাংগা, আমড়া, জাম গাছ, ৪০ টি কাঁঠালসহ অর্ধ-শতাধিক গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়। যার অনুমান মুল্য ৫ লক্ষ টাকা।

ভুক্তভোগী মক্তার আলী সাংবাদিকদের বলেন, এসব ফলজ গাছ লাগিয়েছিলাম অনেক কষ্ট করে। অনেক যত্নে গাছগুলো বড় করেছি। এসব গাছেরতো প্রাণ আছে। কিন্তু গাছের সাথে তাদের কিসের শত্রুতা আমি বুঝে উঠতে পারছিনা।

তিনি মনে করেন, সরকার যেখানে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার কাজ করছেন সেখানে রাতের আধাঁরে সবুজ বেষ্টনী কেটে উজাড় করা বড় ধরনের একটি অপরাধ। তাছাড়া আদালত কতৃক উভয় পক্ষকে (মামলা নং-২৬/২০২০) কোন কিছু করতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ জমি দখল করতে এ কাজটি কেন করল বুঝতে পারছি না। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

স্থানীয় সমসু মিয়াসহ আরো অনেকে জানান, “গাছ মানুষের উপকার ছাড়া কখনো ক্ষতি করেনা।  তারপরও এ সবুজ গাছগুলোর সাথে কিসের শত্রুতা আমাদের জানানেই।”

রাতের আঁধারে যারা এ গাছগুলো কেটে সাবাড় করে দিয়েছে তা অত্যান্ত দুঃখজনক। তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দুবৃত্তদের খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তারা।

এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এএসআই(নিরস্ত্র) বাপ্পি রুদ্র পাল জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। (ওসি) স্যার মিটিংয়ে আছেন । স্যার আসার পর স্যারকে তদন্ত রিপোর্ট দিব।

সোনালীনিউজ/একে/এমএএইচ

Link copied!