গুলিভর্তি ম্যাগাজিন হারিয়ে সাময়িক বরখাস্ত এসআই 

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২১, ০৮:৪৫ পিএম
গুলিভর্তি ম্যাগাজিন হারিয়ে সাময়িক বরখাস্ত এসআই 

প্রতিনিধি

লালমনিরহাট : লালমনিরহাট সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালেকুজ্জামান বাদশাকে সরকারি পিস্তলের গুলিভর্তি ম্যাগাজিন হারিয়ে ফেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, খালেকুজ্জামান বাদশা গত রোববার (২৪ জানুয়ারী) রাতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কোনো মামলা ছাড়াই অন্য জেলার অপহরন সম্পর্কিত জিডি নিয়ে গ্রেফতারি অভিযানে যাওয়ার কারনে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

এ সময় তিনি আরো বলেন , ওই ঘটনার পরে তার সরকারি পিস্তলের গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। যার কারণে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাতে শহরের কলেজ বাজার এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে যান এস আই বাদশা। ওই সময় রবিউল নামে এক ব্যাক্তিকে উঠিয়ে নিয়ে আসার সময় তার অপরাধ সম্পর্কে জানতে চান এবং গ্রেফতারি ওয়ারেন্টের কাগজ দেখতে চান স্থানীয়রা। তিনি কোনো প্রকার ওয়ারেন্টের কাগজ দেখাতে না পেরে পিস্তল উচিয়ে বলেন ‘আমি ডিবি পুলিশ যে কোনো সময় আমরা যে কোনো ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করতে পারি’ এই কথা বলে স্থানীয় জনগনের তোপের মুখে পড়েন সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর খালেকুজ্জামান বাদশা। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে এসআই বাদশা সাংবাদিককে বলেন, ‘রাজশাহী জেলার বাঘা থানার অপহরন সম্পর্কিত একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ওই জেলার একটি মেয়েকে লালমনিরহাটে অপহরন করা হয়েছে। সেই সুত্র ধরে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে পিস্তল উচিয়ে পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পর থেকে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন খুঁজে পাচ্ছেন না’ বলে জানান তিনি।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম যোগদানের পর থেকে এলাকায় চুরি, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলমকে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে ‘তিনি এ ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না’ বলে ফোন কেটে দেন। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Link copied!