চিকিৎসককে পিটিয়ে যুবলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার 

  • ময়মনসিংহ প্রতিনিধি  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১, ০৫:২৫ পিএম
চিকিৎসককে পিটিয়ে যুবলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার 

মাহবুবুল আলম মনিক

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহববুল আলম মনিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে দায়িত্ব পালনকারী ওই চিকিৎসকের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে শহর থেকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম মনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সভাপতিকে গ্রেপ্তারের পর তার চার সহকারী জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, রানা দে, মো. কামরুজ্জামান ও রাকিবুল হোসেন শরীফকেও আটক করা হয়।

এদিকে চিকিৎসককে মারধর করার ঘটনায় বুধবার (০৭ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য কর্মীরা।

একই সঙ্গে দুপুর ১টার দিকে সংবাদ সন্মেলনে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান মুক্তাগাছা উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এ সময় মৌখিক বিবৃতি দেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. উৎপল সরকার। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মেডিকলে অ্যাসোসিয়েশন ময়মনসিংহ শাখাও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম মনি হাসপাতালে হাসপাতালের ফোন নম্বরে ফোন করেন। ফোন ধরেন জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এইচএম সালেকিন মামুন। মনি তাকে বলেন- তার মায়ের করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। এ জন্য তার বাসায় যেন কাউকে পাঠানো হয়।

এ সময় চিকিৎসক সালেকিন মামুন তাকে জানান, ‘আপাতত বাসায় থেকে স্যাম্পল আনার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তার মাকে যেন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ কথা শুনে মোবাইল ফোন কেটে ১০ মিনিটের মধ্যে ৭ থেকে ৮ জন নিয়ে জরুরি বিভাগে যান মাহবুবুল আলম মনি। পরে দরজা বন্ধ করে অশ্লীল ভাষায় গালাগালসহ চিকিৎসক মামুনকে মারধর করা হয়। পরে হাসপাতালের কর্মরত স্টাফরা হামলাকারীদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করেন।’

এ ঘটনায় মঙ্গলবার(0৬ জুলাই) উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম মনিসহ ৭ থেকে ৮ জনের নামে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন ডা. সালেকীন মামুন।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, ‘ডাক্তারকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় যুবলীগ সভাপতি মাহবুবুল আলম মনিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালকে পাঠানো হয়েছে।’

ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আর কেউ যেন এ সব ঘটনায় জড়াতে না পারে।’

সোনালীনিউজ/এসএন 

Link copied!