ইউপি নির্বাচন

এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারীর বিপক্ষে আট মূল ধারার নারীর লড়াই

  • দিনাজপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২১, ১১:২৩ এএম
এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারীর বিপক্ষে আট মূল ধারার নারীর লড়াই

ইউপি নির্বাচন

দিনাজপুর: ফ্রানসিলিয়া মার্ডি ফ্রান্সি। একজন মধ্যবয়সী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (আদিবাসী) সম্প্রদায়ের নারী। আসন্ন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে অংশ নিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বদ্ধী হিসেবে লড়াই করছেন আট মূল ধারার (মুসলিম) নারী। উপজেলার সাত নং শিবনগর ইউনিয়নের এক, দুই ও তিন নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনে কলম মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বিদ্ধতা করছেন তিনি। 

জানা যায়, সাত নং শিবনগর ইউনিয়নের এক, দুই ও তিন নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনে নয় জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আট জন প্রতিদ্বদ্ধীর সাথে একা লড়ছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নারী ফ্রানসিলিয়া মার্ডি ফ্রান্সি (৪৫)। জনপ্রিয়তায় বেশ এগিয়ে আছেন তিনি। এলাকাবাসী ও পরিবারের পক্ষ থেকে পুরোপুরি সমর্থন থাকায় তিনি ওই আট জন নারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি।

ফ্রানসিলিয়া মার্ডি ফ্রান্সি শিবনগর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদ আলুর ডাঙা গ্রামের কালেব টুডুর স্ত্রী এবং বেসরকারি সংস্থা কারিতাস বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার স্বামী কালেব টুডু নওগাঁর লেপ্রোসী রির্চাজ ইনেয়েটিভ সংস্থায় কর্মরত। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে মেসিনিস্ট নিয়ে ডিপ্লোমা করছে আর ছেলে নবম শ্রেণিতে পাঠগ্রহণ করছে। পূর্ব থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে ফ্রানসিলিয়া মার্ডি এলাকায় বেশি আলোচিত।

সংরক্ষিত নারী আসনে অংশ নেয়া ফ্রানসিলিয়া মার্ডি ফ্রান্সি বলেন, আমি বিয়ের আগে থেকেই বিভিন্ন ভাবে এলাকাবাসীদেরকে সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছি। আমার কিছু বন্ধু-বান্ধব বিদেশে থাকার সুবাদে তাদের সহযোগিতা নিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে ত্রাণসহ সহায়তা দিয়ে আসছি। আমি নির্বাচনে অংশ নেবো তা কখনো ভাবিনি। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে আমি আমার পরিবার ও এলাকাবাসীদের সমর্থনে অংশ নিয়েছি। আমার প্রতিদ্বদ্ধী হিসেবে মূল ধারার আট নারী লড়াই করছেন। আশা করছি আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। 

ফ্রানসিলিয়া মার্ডি ফ্রান্সির স্বামী কালেব টুডু বলেন, ফ্রানসিলিয়া সামাজিক কাজে বেশ ভূমিকা রেখে আসছে। নির্বাচনী এলাকার মানুষ তাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে চায় আর আমার পরিবারেরও পুরো সাপোর্ট আছে। সে নির্বাচনে জয়যুক্ত হলে মানুষের সেবা করার আরো সুযোগ পাবে। 

নির্বাচনী এলাকার ভোটার সুমন রায়, শফিকুল ইসলাম ও মোমেনা বেগম বলেন, ফ্রানসিলিয়া মার্ডি অন্য সম্প্রদায়ের হলেও তিনি অসম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার নারী। তিনি সবার সহযোগতায় এগিয়ে আসেন। আপদে-বিপদে তিনি ছুঁটে আসেন। তিনি তার কর্মকান্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকার সবার মন জয় করেছেন। আমরা তাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের সমর্থনে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। জনপ্রিয়তায় তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। আমাদের সবার ভোটে তিনিই জয়যুক্ত হবেন।

সোনালীনিউজ/পিএস/এসআই 

Link copied!