হাতি উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু

  • জামালপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০১৬, ১০:৫৯ পিএম
হাতি উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু

ভারতের আসাম থেকে বন্যার পানিতে বাংলাদেশে ভেসে আসা বন্য হাতিটি উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে দু-দেশের তিনটি ইউনিটের ২০ সদস্যের একটি দল।

উদ্ধারকারী দল নৌকায় করে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পযর্ন্ত জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের কান্দারপাড়া গ্রাম এলাকায় বন্যার পানিতে ঘুরে বেড়ানো হাতিটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন।

বাংলাদেশের প্রধান বন রক্ষক মোহাম্মদ ইউনুস আলী জানান, ভারতের একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বন রক্ষকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল আজ আমাদের বন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ যৌথ উদ্ধার অভিযান চালায়।

তিনি জানান, হাতিটি উদ্ধারে যৌথ উদ্ধারকারী দলটি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি সঙ্গে নিয়ে এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।

বাংলাদেশের প্রধান বন রক্ষক বলেন, হাতিটি নিয়ন্ত্রণে আনার পর সম্ভব হলে ভারত হাতিটিকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। অন্যথায় হাতিটি আমাদের দেশেই থেকে যাবে।

তিনি জানান, ২০০৪ সালে এবং ২০১৩ সালে এ ধরনের দুটি ঘটনা ঘটেছিল। এর মধ্যে একটি হাতি ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছিল। তবে অপর একটি হাতি ফিরিয়ে নেয়ার পথে মারা যায়।

হাতিটির গতিবিধির ওপর নজর রাখা একজন বন কর্মকর্তা বলেন, হাতিটি অস্বাভাবিক আচরণ করছে। এটি দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে আমরা হাতিটিকে ধান গাছ, আখ গাছ এবং কলাগাছের মতো খাবার সরবরাহ করছি। তবে এটি এখনো হিংস্র হয়ে উঠেনি।

বন কর্মকর্তা অশোক বলেন, হাতিটির বিশ্রামের প্রয়োজন। কিন্তু এলাকায় উচু ভূমিতে শুকনা জায়গা না থাকায় বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। এলাকা বন্যা প্লাবিত হওয়ায় মানুষ ঘড়বাড়ি ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

গত ২৭ জুন  আসাম থেকে বন্যার পানিতে ভেসে আসা হাতিটি কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার মুনছুর নগর ইউনিয়নের সিন্নার চর গ্রাম এলাকায় আসে ১৭ জুলাই। সিন্নার চর থেকে ১১ দিন অবস্থানের পর ২৮জুলাই বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বন্যার পানি তেঁড়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামে আসে হাতিটি। ৭দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বৃহস্পতিবার সকাল পযর্ন্ত সাতপোয়া ইউনিয়নে দাসেরবাড়ী গ্রাম এলাকায় বানের পানিতে আখের খেতে অবস্থান করে হাতিটি। ওই দিন দুপুরে স্থান পরিবর্তন করে ফের কামরাবাদ ইউনিয়নের বড়বাড়ীয়া গ্রামে বিকেল পর্যন্ত ঘোড়ে বেড়ায় পানিতে।

ভারতীয় প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগ পযর্ন্ত হাতিটিকে নজরে রাখেন উপজেলা প্রশাসন, সাফারি পার্কে ইউনিট, ময়মনসিংহ বন বিভাগ ও ঢাকা প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের প্রতিনিধি দল। বিকেলে ভারতীয় প্রতিনিধি দল বড়বাড়িয়া গ্রামে পৌছে উপজেলার মানচিত্র দেখে হাতির অবস্থান নির্ধারণ করে। পরে নৌকা যোগে তারা হাতির পিছে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উদ্ধারের পর্যবেক্ষণ করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Link copied!