ঈদে বিশেষ খাবার পেলেন কাশিমপুর কারাগারে বন্দিরা 

  • গাজীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৪, ০১:০২ পিএম
ঈদে বিশেষ খাবার পেলেন কাশিমপুর কারাগারে বন্দিরা 

গাজীপুর: ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। তবে সাধারণ মানুষের কাছে ঈদের আনন্দ থাকলেও দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি আসামিরা ঈদের এ আনন্দ পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন না। এ কথা বিবেচনা করেই বন্দিদের মাঝে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার সুবাদে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বিভিন্ন অপরাধে বন্দি আসামিদের পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। 

এছাড়াও বিশেষ খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি বন্দিদের মাঝে নতুন পোশাকও বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বড়দের পাশাপাশি ডে-কেয়ার সেন্টারে থাকা শিশুদেরও বিশেষ খাবার ও নতুন জামা দেওয়া হয়। 

একই সঙ্গে এ দিন বন্দিদের জন্য কারাগারের ভিতরে আলাদা আলাদা ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঈদের পরদিনও কারাগারে বন্দিরা যাতে ঈদের এই সময়ে নিজেদের বাড়ি ও স্বজনদের বাসার খবারও খেতে পারেন। এজন্যও স্বজনদের রান্না করা খাবার ও সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে সময় কারাগারের প্রধান ফটকে স্বজনদের ব্যাগ ও খাবার তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ। 

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, কারাগারে বন্দিরা ঈদের দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। এ দিকে বিবেচনা করে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বন্দিদের ঈদের আনন্দ দিতে ঈদের আগের দিন বন্দিদের লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।বন্দিদের খাবারের তালিকায় সকালে ছিল পায়েস ও মুড়ি। দুপুরে ছিল মাংস, পোলাও, সালাদ ও কোল্ড ড্রিংকস। রাতে সাদা ভাত, রুই মাছ ও মুড়িঘণ্ট।এছাড়াও বন্দীদের  ঈদের নামাজের জন্য  কারাগারের ভিতরে ২০টি জামাত হয়। তিনি আরও বলেন,তার কারাগারে এবার  প্রায় ২৩০০ বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে, ১০৩৬ জন ফাঁসির এবং তিন শতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামি রয়েছে। 

অপর দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট—১ এর সূত্রে জানা যায়,এ কারাগারেও বন্দী রয়েছে ১৩১৩ জন। এখানে শতাধিক ফাঁসির ও অর্ধশতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামি রয়েছে। এখানেও বন্দি আসামিদের বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। এসব খাবারের মধ্যে ছিলো সকালে ছিল পায়েস ও মুড়ি; দুপুরে মাংস, পোলাও, সালাদ, পান-সুপারি ও কোল্ড ড্রিংকস। রাতে সাদা ভাত, আলুর দম, রুই মাছ, মুড়িঘণ্ট। 

এমএস

Link copied!