পাথরঘাটায় নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর জেলের লাশ উদ্ধার 

  • পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
পাথরঘাটায় নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর জেলের লাশ উদ্ধার 

ফাইল ছবি

বরগুনা: বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালি নদীতে সদর মৎস্য বিভাগের অভিযানের সময় জেলেদের মারধরের সময় নদীতে পরে নিখোঁজ জেলের মোহাম্মদ রিপনের লাশ ২২ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল)  দিবাগত রাত ১২ টার পরে বিষখালী নদীর কালমেঘা টুলু পয়েন্টের কাছ থেকে রিপনের লাশ উদ্ধার করে জেলেরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম নাসির।

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিষখালীর নদীর দক্ষিণ কুপধোন এলাকায় বরগুনা জেলা মৎস্য অভিযানের এক পর্যায়ে জেলে রিপন বিষখালী নদীতে পরে নিখোঁজ হন। এঘটনায় আরো দুই জেলে আহত হয়।

নিহত জেলে মো. রিপন (৪১) উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কূপধোন গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত জেলেরা হলেন–মো. রাসেল একই এলাকার নুরু মোল্লার ছেলে এবং সুলতান হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। 

এদিকে রাত দেড়টার দিকে রিপনের মরদেহ কালমেঘা টুলু পয়েন্টে উদ্ধার করে নিয়ে এলে প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে এ ঘটনায় জড়িত জেলা মৎস বিভাগের কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হোসাইন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নাসির সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

স্থানীয় সূত্র ও আহত দুই জেলে জানান, প্রতিদিনের মতো রিপন, রাসেল ও দেলোয়ার দুটি ট্রলার নিয়ে বিষখালী নদীতে মাছ ধরার জন্য যায়। রাত আড়াইটার দিকে স্পিডবোট নিয়ে বরগুনা সদর উপজেলার মৎস্য বিভাগ অবৈধ খুটি অপসারণের জন্য অভিযানে আসে। তখন ওই দুটি ট্রলারকে ধরে সেখানে থাকা জেলেদের মারধর করেন তাঁরা। মারধরের একপর্যায়ে রিপন নদীতে ঝাঁপ দিলে পরবর্তী সময়ে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর রাসেল ও দেলোয়ারকে নিয়েই অভিযান চালায় মৎস্য বিভাগ। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে অভিযান শেষে রাসেল ও দেলোয়ারকে তীরে ছেড়ে দেয়। 

স্থানীয় যুবলীগ নেতা তাওহীদ দীপু জানান, রাতের ঘটনা ফিরে আসা জেলেদের থেকে শুক্রবার সকাল নয়টার পর আমরা জানতে পারি। এরপর থেকেই আমরা নদীতে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে খোঁজ করি। এরপর জোয়ার শুরু হলে পুনরায় শুক্রবার রাত দশটায় একযোগে বিশটি ট্রলারে নিয়ে অনুসন্ধানে নামি। রাত ১২ টার পরে কালমেঘা টুলু পয়েন্টের কাছের একটি বনের ভেতর রিপনের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নাসির জানান, লাশের সন্ধান পাওয়ার পর পাথরঘাটা থানা পুলিশকে জানালে রাত দেড়টার দিকে পুলিশ বিষখালী নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে।

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, এই অভিযানে পাথরঘাটা মৎস্য দপ্তরের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। সদরের অভিযানে কোন জেলে নিখোঁজ হয়নি মর্মে তারা জানিয়েছে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত সাইফুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য সকালে মর্গে পাঠানো হবে।

এসআই

Link copied!