সমন্বয়ক পরিচয়ে আ’লীগ নেতার ৫ তলা ভবন দখল করলেন এক নারী

  • টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
সমন্বয়ক পরিচয়ে আ’লীগ নেতার ৫ তলা ভবন দখল করলেন এক নারী

টাঙ্গাইল: সমন্বয়ক পরিচয়ে টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পাঁচতলা ভবন দখল করেছেন মারইয়াম মোকাদ্দাস মিষ্টি নামের এক নারী। 

তবে স্থানীয়রা বলছেন, কিভাবে একজন সমন্বয়ক নিজের ব্যক্তিগত সার্থে আরেকজনের বাড়ি দখল করেন। এ নিয়ে তোলপার শুরু হয়েছে পুুরো শহরজুড়ে।

শনিবার দুপুরে শহরের বেশ কয়েকজন ভাস্যমান পতিতা, মাদকাশক্ত এবং কয়েকজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী নিয়ে ‘আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশন’ এর নামে বাড়িটি দখল করেন।

জানা যায়, গত তিন মাস আগে টাঙ্গাইলের সন্তোষ বড়ইতলা এলাকার শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির দুই তলা ভবন প্রতিমাসে ১৬ হাজার টাকায় বৃদ্ধাশ্রমের নামে ভাড়া নেন সমন্বয়ক পরিচয় দানকারী মারইয়াম মোকাদ্দাস মিষ্টি। 

এরপর সেখানে বৃদ্ধাশ্রম না করে কয়েকজন ভাস্যমান পতিতা, মাদকাশক্ত এবং কয়েকজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী নিয়ে ‘আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশন’ গড়ে তুলেন। প্রথম মাসের ভাড়া পরিশোধ করলেও দুই মাসের ভাড়া না দিয়েই হঠাৎ করেই শনিবার দুপুরে ওই নারীদের নিয়ে শহরের ছোট কালিবাড়ী এলাকায় অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি (বর্তমানে পলাতক) জোয়াহেরুল ইসলামের পাঁচতলা ভবন দখলে নেন মারইয়াম মোকাদ্দাস মিষ্টি।

তার দাবি তিনি গত ৬ ফেব্রুয়ারি এই বাড়িটি বেকু মেশিন দিয়ে ভেঙে ফেলতে আসেন। সেসময় জোয়াহেরুল ইসলামের পক্ষে এক লোক এসে তাকে বলেন বাড়িটি না ভেঙে আপনি কিছু একটা করেন।  

এদিকে একজনের বাড়ি আরেকজন সমন্বয়ক নিজের স্বার্থে দখল নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, যেভাবে ভাস্যমান পতিতা, মাদকাশক্ত এবং কয়েকজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী নিয়ে ‘আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশ’ এর নামে বাড়িটি দখল করা হলো এতে করে এলাকার পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হবে।

এ বিষয়ে আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের সভাপতি মারইয়াম মোকাদ্দাস মিষ্টি জানান, আগে যে ‘আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশন’ নামে পাগলের আশ্রম ছিলো সেটি ভাড়া নেওয়া ছিলো। সেই আশ্রমমটি ছেড়ে দিয়ে এখন এই আওয়ামী লীগ নেতা জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িতেই সকল মানসিকভারসাম্যহীন নারীদের রাখা হয়েছে। 

তিনি জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি এই বাড়িটি ভেঙে ফেলতে এসেছিলেন। সে সময় জোয়াহেরুল ইসলামের পক্ষ থেকে তার বাতিজা এসে বাড়িটি না ভেঙে সমাজের উন্নয়নমূলক কিছু করা যায় কি না। এ কথা ভেবেই ওইদিন বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়নি। তাই এই বাড়িটি দখল নিয়ে সকল মানসিকভারসাম্যহীন নারীদের এনে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, বাড়ি দখলের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এ নিয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেননি।

এআর

Link copied!