রাখাইনদের জলকেলি উৎসবে ফিলিস্তিনিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন

  • কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
রাখাইনদের জলকেলি উৎসবে ফিলিস্তিনিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন

পটুয়াখালী: মুসলিমদের আবেগের জায়গা ফিলিস্তিনিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে রাখাইন সম্প্রদায়।কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে ৩ দিন ব্যাপি রাখাইন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যের রাখাইন মাহা সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব। এ উৎসবে মেতে উঠেছে রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা অনুষ্ঠান শুরুতেই ফিলিস্তিনি নিহতদের এক মিনিট নীরবতা পালন করেন, এবং সকল ধর্মের মানুষদের ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার আহ্বান জানাই রাখাইনরা। 

কুয়াকাটার শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মহিলা মার্কেটে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে  তিনদিন ব্যাপী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব। এতে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ উৎসবের শুভ সূচনা করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবীবুর রহমান, মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমানসহ প্রমখ।

অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাখাইনপাড়ায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। শুধু কুয়াকাটার রাখাইন সম্প্রদায় এ উৎসবে মেতে উঠেনি। আশেপাশে সকল পাড়া থেকেই সকাল থেকেই জলকেলিতে অংশ নিতে ভিড় জমিয়েছেন তারা। এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলা বরগুনা থেকেও রাখাইন সম্প্রদায় অংশগ্রহণ করে এ সাংগ্রাই জলকেলিতে। 

মাঠের মধ্যে রাখা হয়েছে একটি সাজানো গোছানো নৌকা। নৌকার মধ্যে রাখা হয়েছে পানি। আর এ পানি একে অপরের গায়ে ছিটিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। এ সময় নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে উঠে কিশোর কিশোরীরা।

যে যার মত পানি ছিটিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ বলছেন, পুরোনো বছরের সব গ্লানি ও দুঃখ জলে মুছে নতুনভাবে জলে জলে পরিশুদ্ধির জন্য এই উৎসব। একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে ভালোবাসা আরো পরিশুদ্ধ ও বন্ধনকে মজবুত করাই তাদের লক্ষ্য।

উপজেলা প্রশাসন বলেন, কুয়াকাটার রাখাইন সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জলকেলি। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এ অনুষ্ঠানটিতে রাখাইন সম্প্রদায়ের নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতি রয়েছে।  অনুষ্ঠানটিতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা ও আর্থিক সহায়তা করার চেষ্টা করা হবে।

এ উৎসবকে কেন্দ্র করে রাখাইন পরিবারে তৈরি করা হয়েছে নানান পদের পিঠাপুলি। এটিকে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের বন্ধন বলে মনে করেন এখানকার রাখাইন সম্প্রদায়।

এআর

Link copied!