ঢাকা: রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে চট্টগ্রাম শহরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় আগ্রাবাদ, কাতালগঞ্জ, ওয়াসা মোড়, জিইসি মোড়সহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো রীতিমতো অচল হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জলাবদ্ধ সড়কপথে হাঁটু সমান পানি জমে আছে। এতে করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ, দিনমজুর, কর্মজীবী নারী-পুরুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। গণপরিবহন সংকট দেখা দেওয়ায় সাধারণ মানুষকে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
জলাবদ্ধতা ও যানবাহনের অভাবকে পুঁজি করে রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা আদায় করছেন অতিরিক্ত ভাড়া। একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নগরীর ড্রেন ও নালাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় পানি নিষ্কাশনে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট ডুবে যাচ্ছে। বিশেষ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমেই একই চিত্র দেখতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার নিয়েছে ‘চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্প’ যার ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তবে এখনও প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় শহরবাসীকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হলে আগামী দিনে নগরীতে এমন জলাবদ্ধতার দৃশ্য আর দেখা যাবে না।
ওএফ
আপনার মতামত লিখুন :