রাজশাহী-৪ বাগমারা আসন

বিএনপিতে মনোনয়নযুদ্ধ, জামায়াতের একক প্রার্থী নির্ভার

  • রাজশাহী ব্যুরো | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০৪:২১ পিএম
বিএনপিতে মনোনয়নযুদ্ধ, জামায়াতের একক প্রার্থী নির্ভার

ফাইল ছবি

রাজশাহী: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তৎপরতা। আসনটি ঘিরে বিএনপিতে মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিযোগিতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী নির্ভারভাবে মাঠে কাজ করছেন।

বাগমারা উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির একাধিক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা সবাই কেন্দ্রের নজর কাড়তে মাঠে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর পাশাপাশি ঢাকা ও লন্ডনে সক্রিয় লবিং করছেন।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ডা. আব্দুল বারী সরদারকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং বাগমারার ভবানীগঞ্জে নিজস্ব ক্লিনিকের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। স্থানীয়ভাবে তিনি পরিচিত একজন জনপ্রিয় সমাজসেবক। ফলে বিএনপির ঐতিহ্যগত আসন হলেও জামায়াত এবার এখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্যসচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম টুটুল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া, উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামাল হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও আমেরিকাপ্রবাসী ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, ড্যাব নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ডা. আশফাকুর রহমান শেলী এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর।

রেজাউল করিম টুটুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলন-সংগ্রামে পরীক্ষিত নেতাদেরই মনোনয়ন দেবেন। আমি চাকরি ছেড়ে দলের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলাম। আমার ছোট ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, ব্যবসা দখল হয়েছে, জেল খেটেছি। তাই আমি মনে করি মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য আমি। নির্বাচিত হলে বাগমারাকে বেকারমুক্ত মডেল উপজেলা গড়ে তুলতে চাই।

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামাল হোসেন বলেন, সরকারি চাকরি ছেড়ে আমি দুঃসময়ে দলের পাশে থেকেছি। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, জেলেও গেছি। মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ও জনপ্রিয়তা আছে। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আমি জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি ছিলাম এবং তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। দলীয় সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করছি। দল বিবেচনা করলে আমিই এই আসনে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সবাই নিজেদের যোগ্য প্রমাণে ব্যস্ত, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগসূত্র জোরদার করতে অনেকে ঢাকাসহ লন্ডনেও সক্রিয় রয়েছেন।

এদিকে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা. আব্দুল বারী সরদার বলেন, মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। তারা দুর্নীতি, দুঃশাসন ও বৈষম্যের অবসান দেখতে চায়। আমি সম্প্রীতি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করতে চাই। দলমত নির্বিশেষে মানুষ আমার পাশে থাকবে বলে বিশ্বাস করি।

রাজশাহী-৪ আসনে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই এখন আলোচনায়। তবে কার পক্ষে হাওয়া বইবে, তা নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন এবং মাঠপর্যায়ের সমীকরণের ওপর।

এসএইচ

Link copied!