ছবি: প্রতিনিধি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন পেছাতে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ধর্মকে ব্যবহার করে প্রান্তিক জনগণের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সহজ সরল মানুষের এই বিভ্রান্তি কাটাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সচেতন ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নারীরা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার প্রধান শক্তি। অতীতে নারীর ভোটে বিএনপি পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে। আগামী দিনে নারীরা বিএনপির সঙ্গে থেকে জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করে দলকে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় আনবে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে "সমাজে নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির নির্বাচনী অগ্রাধিকার" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৭ জেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও অংশীজন সমন্বয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কে›ন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন অর রশীদ হারুন।
বেগম সেলিমা রহমান বলেন, এখন আর শ্লোগান ও বিশাল সমাবেশের সময় নয়, বরং ঘরে ঘরে গিয়ে সংগঠিত হওয়ার সময়। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দলের ভাবনা প্রচার করতে হবে। এখন আমাদের শ্লোগান নয়, মিটিং নয়, এখন আমাদের যেতে হবে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার অভাব ও যৌতুকের কারণে নারীরা আজও নিপীড়িত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই যৌতুকবিরোধী আইন প্রণয়ন করেছিলেন, যা নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে বিএনপিই পথপ্রদর্শক। জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে নারীরা রাজনীতি ও সমাজে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।
আলোচনা সভায় জনপ্রতিনিধির মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, জেসমিনা খানম, পটিয়ার আফরোজা বেগম জলি, বোয়ালখালীর শাহিদা আকতার শেপু, সীতাকুন্ডের নাজমুন নাহার চৌধুরী, বিজিয়া মেম্বার, হাটহাজারীর নুরী মাহফুজা ইউছুপ, লায়লা ইয়াসমিন, টেকনাফের তাহেরা আকতার মিলি, খাগড়াছড়ির তাকলিমা সুলতানা, কাজুরী ত্রিপুরা, শিউলি বেগম, রাঙ্গামাটির বর্ণা চাকমা, বিলকিস বেগম, নুর নাহার বেগম, বান্দরবানের অ্যাডভোকেট উমা সিং মারমা, জায়তুন নাহার, কক্সবাজারের হুমায়রা বেগম, চকরিয়ার রাশেদা বেগম, উখিয়ার রোখসানা বেগম প্রমুখ।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :