এনজিও কর্মীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া রিপন (৪২) এবং তার সহযোগী চান মিয়াকে (৪৩) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। অভিযুক্ত রিপন উপজেলার পশ্চিম ভেলাবাড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। অপর অভিযুক্ত চাঁন মিয়া ৪২ পাশ্ববর্তী তালুক দুলালী (বারঘড়ি) গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে।
মামলার বাদী ওই এনজিওকর্মী এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি ব্র্যাক অফিস ভেলাবাড়ী শাখায় ক্রেডিট অফিসার (প্রগতি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই সময়ে স্থানীয় নাসির উদ্দিন জয় নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাসির উদ্দিন জয় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় তিনি।
পরে বিয়ের দাবিতে বাদী নাসির উদ্দিন জয়ের বাড়িতে গিয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে গত ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় তিনি বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া রিপনের সঙ্গে দেখা করেন। রিপন তাকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে সহযোগী চান মিয়ার বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন। ওই রাতে চাঁন মিয়ার বাড়িতে অবস্থানকালে রিপন প্রথমে রাতে এবং পরের দিন রাতে চান মিয়া তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে। এ ঘটনায় স্থানীয় দুইজন সাক্ষীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
পই মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে লালমনিরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর না করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আহমেদ লিমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা আদালতে আসামীদের জামিন আবেদন করেছি। আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করবো।”
এম
আপনার মতামত লিখুন :