তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে 

  • পঞ্চগড় প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ১০:১৮ এএম
তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে 

ফাইল ছবি

পঞ্চগড়: মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। গত কয়েক দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও আজ থেকে ৯ ডিগ্রির ঘরে নেমে গেছে। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে পঞ্চগড়ে। তাই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। 

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল। এর আগের দিন সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েক দিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। সকাল সকাল রোদের ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ নেই। রাতে ও সকালে ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ ছাড়া দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা ।

এ ছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

সদরের ভ্যানচালকরা জানান, এই কনকনে শীতে সকালে ভ্যান নিয়ে বের হওয়া যায় না। এতে আমাদের মতো খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয়েছে।

শ্রমিকেরা জানান, সকালে ঠান্ডা পানিতে পাথর তুলতে ভীষণ কষ্ট হয়। পরিবারের কথা ভেবেই এই ঠান্ডার মাঝেও মহানন্দা নদীতে পাথর তুলতে হয়। কী আর করার আছে?

তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রির ঘরে নেমে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল। এর আগের দিন সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, শীতের এই দুর্যোগে জেলা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন নিয়মিতভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ অর্থে ৮ হাজার ৬৪০টি কম্বল ক্রয় করে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৬৫ হাজার কম্বলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এসআই

Link copied!