সালিশে ডেকে গৃহবধূকে ধর্ষণ করলো চেয়ারম্যান!

  • টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০১৭, ০৪:০৫ পিএম
সালিশে ডেকে গৃহবধূকে ধর্ষণ করলো চেয়ারম্যান!

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইল: জেলার কালিহাতী উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সালিশি বৈঠকের কথা বলে ডেকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয় বলে থানায় দায়েরকৃত মামলার নথি থেকে জানা যায়।

অভিযুক্ত হলেন উপজেলার নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকী।ধর্ষিত ওই গৃহবধু বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ধর্ষিতা গৃহবধূ জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তার বাবার বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশির সাথে বিরোধ চলছে। মঙ্গলবার সেই বিরোধ নিয়ে সালিশী বৈঠকের কথা বলে মনির নামের এক ব্যাক্তি নাগবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে না নিয়ে মনির এলেঙ্গা রিসোর্টে নিয়ে যায় তাকে। 

সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর কাছে তাকে দিয়ে চলে আসে। পরে মিল্টন তাকে রিসোর্টের একটি কক্ষে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রিসোর্টের সামনের ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তার মা ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করেন। 

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে ধর্ষিতার মা জানান, ‘জমি নিয়ে সালিশের কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন।’

নাগবাড়ী ইউনিয়নের এক সদস্য আ. হালিম জানান, ধর্ষিতার মায়ের ফোন পেয়ে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার নারীসহ জনতার হাতে ধরা পড়েছেন। তিনি এ জঘণ্য ঘটনার দায়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। আমি একজন জনপ্রতিনিধি। এ রকম অভিযোগে হতবাক হয়েছি।’

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আখেরুজ্জামান জানান, টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধুর অভিযোগ পত্র নেয়া হয়েছে। রাতেই এই ব্যাপারে থানায় মনির ও মিল্টন সিদ্দিকীকে আসামী করে একটি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নম্বর ১৫। মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক রেহেনা পারভীন বলেন, ভিক্টিমের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি, তবে ডাক্তারি পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Link copied!