আ.লীগ সভাপতির হাতে লাঞ্ছিত, এবার হত্যার হুমকি

  • বরগুনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০১৭, ০৭:২৩ পিএম
আ.লীগ সভাপতির হাতে লাঞ্ছিত, এবার হত্যার হুমকি

বরগুনা: জেলার পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির হাতে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাঞ্ছিতের পর এবার তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভিনের মুঠোফোন এ হত্যার হুমকি দেয়া হয়। সন্ত্রাসীদের হুমকির ভয়ে তিনি রোববার (১৯ মার্চ) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। এবিষয়ে ফাতিমা পারভিন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এদিকে লাঞ্ছিতের ঘটনার তিন দিনেও পাথরঘাটা থানায় মামলা না নেয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তার পরিবার।

ফাতিমা পারভিন বলেন, শনিবার বিকেলে তার মুঠোফোন একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বরিশাল হাসপাতালের অবস্থান জানতে চায়। এসময় তার পরিচয় জানতে চাইলে ফাতিমা পারভিনকে প্রান নাশের হুমকি দেয়। ওই সন্ত্রাসীরা আরও জানায়, তারা বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে রয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভিন আরও জানান, জাতির জনকের জম্ম দিনে নির্ধারিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, র‌্যালি ও আলোচনা সভা। বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান না থাকায় তার প্রস্তাব ছিল সবার আগে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য দিয়ে র‌্যালি করা। এতে সবাই একমত হয়।

এসময় পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মহিলা এমপি নাসিমা ফেরদৌসির আপন বড় ভাই বেলায়েত হোসেন আগে র‌্যালি হওয়ার কথা বলেন। পরে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হবে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যান তার বাসায় চলে যায়। কিছুক্ষন পর পাথরঘাটার উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে তাকে ফোন করে নেয়া হয়। এ সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও তার দলবল তাকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর চড়াও হয়ে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মান্নান ফাতিমা পারভিনকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও বেলায়েত হোসেন এবং তার দলীয় লোকজন লাঞ্ছিত করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভিন পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে তাৎক্ষনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন জানান, কাউকে লাঞ্ছিত করা হয়নি এবং ফাতিমা পারভিনকে প্রান নাশের হুমকিও দেয়া হয়নি।

এঘটনায় ফাতিমা পারভিনের স্বামী রেজাউল করিম মিরাজ পাথরঘাটা থানায় শুক্রবার দুপুরে এবং রাতে মামলা করতে গেলে ওসি মো. জিয়াউলহক মামলা নেয়নি।

মিরাজ জানান, ওসি বলেছেন মহিলা এমপি মামলা নিতে নিষেধ করেছেন। এ কারণে মামলা নেয়া হবেনা।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক জানান, থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Link copied!