নলছিটিতে সূর্যমুখীর হাসি

  • ঝালকাঠি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০১৭, ০৯:২৭ এএম
নলছিটিতে সূর্যমুখীর হাসি

ঝালকাঠি: জেলার নলছিটি উপজেলার শেওতা গ্রামে প্রতিদিন বিকেলে মানুষের ঢল নামছে সূর্যমুখীর হাসি দেখতে। গ্রামের কৃষক গোপাল কৃষ্ণ সাহা ২৫ একর জমি লিজ নিয়ে বিশাল সূর্যমূখীর চাষ করেছেন। মাঠজুড়ে এখন ফুলে ছেয়ে গেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, গোপাল কৃষ্ণ সাহার নিজের কোন জমি নেই। তিনি পতিত থাকা ২৫ একর জমি একর প্রতি ৮০০ টাকা করে খন্ডকালীন এই চাষাবাদের জন্য লিজ নিয়েছেন।

কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে গোপাল কৃষ্ণ সাহা সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা চাষাবাদ মনিটরিং করছে।

এক সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্র্যাক দাতা সংস্থা ইউএসএইড ২৫ টনের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সূর্যমূখী চাষের জন্য কৃষকদের সার, বীজ ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সূর্যমূখীর চাষ করেছে। কিন্তু ২ বছর আগে দাতা সংস্থা প্রকল্পের সহায়তা প্রত্যাহার করে নেয়ায় সূর্যমুখীর চাষ মূখথুবরে থাকে। তবে এ বছর গোপাল কৃষ্ণ সাহা নলছিটি উপজেলায় এবং কাঁঠালিয়া উপজেলায় অল্প কয়েকজন কৃষক স্বল্প পরিসরে সূর্যমুখীর চাষ করেছে।

গোপাল কৃষ্ণ সাহা জানান, প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় করে ২৫ একর জায়গায় জিকে হাইব্রিড সুবর্ণা জাতের সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। ইতিপূর্বেও অল্প পরিসরে সূর্যমূখীর চাষ করেছেন। তিনি আশা করেন, কোন বৈরি দুর্যোগের শিকার না হলে এই চাষাবাদ থেকে ২ লাখ টাকা নীট আয় পাবেন।

একই এলাকার কৃষক সোহরাব জোমাদ্দার জানান, গোপাল কৃষ্ণ সাহা এ বছর এই জায়গায় বিশাল আয়তন নিয়ে সূর্যমূখীর চাষ করে ব্যাপক আলোড়ণ সৃষ্টি করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ সার্বক্ষনিক ভাবে এই চাষাবাদে পরামর্শ এবং অন্যান্য সহযোগিতা করে আসছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Link copied!