তামাক চাষীরাও হুমকি দিচ্ছেন আন্দোলনের!

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৭, ১০:২০ পিএম
তামাক চাষীরাও হুমকি দিচ্ছেন আন্দোলনের!

ঢাকা: বিড়ি শিল্পের ওপর অযৌক্তিক কর প্রত্যাহার করা না হলে এবং অবিক্রিত তামাক না কিনলে অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও প্রস্তাবিত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর অযৌক্তিক কর প্রত্যাহারের দাবি সিগারেটের পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে বৃহত্তর রংপুর, নীলফারী ও লালমনির হাটে পৃথক-পৃথক সমাবেশে তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীরা সমাবেশে এই ঘোষণা দেন।

এদিন সকালে রংপুর বঙ্গবন্ধু মোড়ে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তামাক চাষী সমিতির সভাপতি  আব্দুল মান্নান। এছাড়া বক্তব্য দেন, সমিতির সদস্য গোলাম মির্জা, ফারুক মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান, মোখলেসুর রহমান ও মহিলা তামাকচাষী নুরুন্নাহার।

একই সময়ে নীফফামারী  চৌরঙ্গির মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জেলা তামাক চাষী সমিতির সভাপতি  হামিদুল হক। এতে বক্তব্য দেন, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম ফকির,  সদস্য বিকাশ রায়,  নিতাই সরকার, আমজাদ হোসেন, মোশারফ হোসেন।

অন্যদিকে লালমনির হাটের কালিগঞ্জে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা তামাক চাষী সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান। বক্তব্য দেন, এরশাদুল হক, তবিবুর রহমান, আবুল  কাশেম, মনোয়ার হোসেন, খাদেমুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।

সমাবেশে বক্তরা  বলেন,  প্রতি বছর বাজেটে বিড়ি শিল্পের ওপর বৈষম্যমূলক ট্যাক্স  নির্ধারণের কারণে বিড়ি শিল্প আজ ধ্বংসের পথে। বৈষম্যমূলক শুল্ক নির্ধারণের কারণে গত কয়েক বছরে শত শত বিড়ি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে।

ইতিমধ্যে ফ্যাক্টরি বন্ধে হয়ে যাওয়ার কারণে  বিড়ি শিল্প মালিকরা তামাক ক্রয় করা বন্ধ কয়ে দিয়েছেন। প্রায় ২০০ কোটি টাকার তামাক অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে দুই লাখ বিড়ির তামাক চাষী আজ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

বক্তারা আরো বলেন, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের একমাত্র কর্মসংস্থানের উপায় বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করে বিড়ির বাজার সিগারেটের হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই চক্রান্তের কারণে আতঙ্কে রয়েছে হাজার হাজার তামাক চাষী। কারণ বিড়ির একমাত্র কাঁচামাল তামাক এই অঞ্চলে চাষ  হয়ে থাকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Link copied!