কোম্পানীগঞ্জে টানা বর্ষণে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি, নিহত ১

  • নোয়াখালী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০১৭, ১০:১০ এএম
কোম্পানীগঞ্জে টানা বর্ষণে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি, নিহত ১

নোয়াখালী: টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ সময় জোয়ারের পানির প্রবল স্রোতে পানিতে ডুবে রোকেয়া বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। এবং পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে জোয়ারের পানিতে ডুবে রোকেয়া বেগমের মৃত্যু হয়। নিহত রোকেয়া বেগম ওই এলাকার শহীদ উল্যা মিয়ার নতুন বাড়ির শহীদ উল্যার মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিনের টানা বর্ষণে উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলসহ ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঝড়ের আঘাতে চরপার্বতী, মুছাপুর, চরফকিরা ও চরএলাহি ইউনিয়নের কাচা ঘর এবং গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ও খুড়ি পড়ে যাওয়ায় এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, রাতে মুছাপুর ৭নং ওয়ার্ডে শহীদ উল্যার নতুন বাড়িতে জোয়ারের পানি ডুকে পড়লে শহীদের পরিবারের লোকজন নিরাপদে সরে আসতে পারলেও তার মেয়ে রোকেয়া বেগম ঘরের মধ্যে থেকে যায়। পরে পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে ঘরের ভেতর পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। মুছাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন পানিবন্দি হয়ে রোকেয়া বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে নিশ্চিত করেছেন।

কোম্পানীগঞ্জ সিপিপি টিম লিডার ইলিয়াছ মিয়া  জানান, সাগরে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় অস্বাভাবিক জোয়ারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বাতাসের কারণে কাচা ঘরবাড়ি হেলে পড়েছে। চরএলাহি ইউনিয়নের গাংচিল গ্রাম ও দক্ষিণ চরএলাহি এলাকার মাছের প্রজেক্টে জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে মাছ ভেসে গেছে। আমন ধান পানির নিচে ডুবে গেছে।

তিনি আরো জানান, উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চল মুছাপুর, চরএলাহী, চরফকিরা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে জোয়ারের পানি ডুবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০০ পরিবার। বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইব্রাহিম খলিল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Link copied!