ছয় নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আরিফের জবানবন্দি

  • শরীয়তপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭, ০৮:৩৭ পিএম
ছয় নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আরিফের জবানবন্দি

শরীয়তপুর: ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরিফ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় শরীয়তপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন তিনি।

এরআগে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গোসাইরহাট উপজেলার সাইক্কা ব্রীজ এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন রাত ১০টায় শরীযতপুর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন সংবাদ সম্মেলন করে আরিফকে গ্রেপ্তারের কথা জানান।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে আরিফকে আদালতে হাজির করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আরিফ। আদালতে স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়ে নিশ্চিত করে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আরিফ গ্রেপ্তারের পরেই পুলিশের কাছে ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করে। পরে সে স্বেচ্ছায় আদালতে বিষয়টি জানানোর ইচ্ছে প্রকাশ করলে বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দেয় ছাত্রলীগ নেতা আরিফ।

উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আরিফ হোসেন হাওলাদার। তিনি ফেরাঙ্গিকান্দি গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয় এম এ রেজা  কলেজের স্নাকত শ্রেণির ছাত্র। ফাঁদে ফেলে ছয় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৫ অক্টেবর ছয় নারীকে ধর্ষণের দৃশ্যর ভিডিও ও ছবি মানুষের হাতে ছড়িয়ে পড়ে। ১৭ অক্টোবর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেন।

অভিযোগ পেয়ে ১৯ অক্টোবর ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ আরিফকে বহিষ্কার করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ায় ১১ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগ আরিফকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করে। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ভুক্তভোগী এক নারী তার বিরুদ্ধে  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Link copied!