সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের ৭১ শতাংশ শিক্ষিত

  • গাজীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০১৮, ১২:২৮ এএম
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের ৭১ শতাংশ শিক্ষিত

গাজীপুর : গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে এবার ১৯টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ৭১ শতাংশ শিক্ষিত। বাকিরা স্বাক্ষরজ্ঞান ও অন্যান্য শিক্ষায় শিক্ষিত। তাদের মধ্যে গৃহিণী ৪২ শতাংশ, ব্যবসায়ী ২১ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ হলেন চাকরিজীবী।

নারী কাউন্সিলরদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৮৪ জনের মধ্যে ৭ জন এইচএসসি পাস, ১০ জন এসএসসি, ২ জন দশম শ্রেণি, ২৪ জন অষ্টম শ্রেণি, ৫ জন স্নাতক, ৬ জন স্নাতকোত্তর ও ৬ জন এলএলবি পাস।

১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত আসনে এবারো প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর মোসা. আয়েশা আক্তার। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনে কাউন্সিলরদের উচ্চশিক্ষা থাকলে কাজকর্ম করতে সুবিধা হয়। কারণ এখানে বিদেশি অনেক প্রকল্পের কাজ আমাদের করতে হয়। বাইরের দেশের ওইসব প্রকল্প কর্মকর্তারা সভায় বক্তব্য দেন ইংরেজিতে।

এ ছাড়া মোবাইল কিংবা ই-মেইলে অনেক তথ্য ইংরেজিতে আসে। শিক্ষা না থাকলে বা কম শিক্ষিতরা নিজে কিছু বুঝতে পারেন না। বিচার-সালিশ, আইনের ধারা ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে কম শিক্ষিতদের বেশি ভোগান্তি হয়। তাই ভোটারদের সিটি নির্বাচনে শিক্ষিত ও সচেতন প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান নারী কাউন্সিলর মোছা. বকুল আক্তার জানান, লেখাপড়া কম থাকলেও আমি জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকি। জনগণও আমাকে ভালোবাসেন। তাই এবারো আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি ইংরেজি বলতে-পড়তে না পারলেও আমার বিএ পাস সচিব রয়েছেন। তিনি আমাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেন। এখানে জনগণের কাজ করার মানসিকতাই বড় কথা। তবে নিজে শিক্ষিত থাকলে নিজের কাজ নিজেই করা সম্ভব হয়।

টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) গাজীপুরের সহসভাপতি অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মলি­ক বলেন, প্রার্থী হলফনামার বিস্তারিত লিফলেট আকারে প্রকাশ করা উচিত। যাতে ভোটাররা তাদের যোগ্যতা দেখে ভোট দিতে পারেন। যারা জনপ্রতিনিধি হবেন তারা রাজনীতিবিধ হওয়াটাই প্রয়োজন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা বেশি জনপ্রতিনিধি হতে এগিয়ে আসছেন। এটা রাজনীতির জন্য শোভন বলে মনে করি না। প্রার্থীদের শিক্ষিত হওয়াও জরুরি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল বলেন, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর তাদের হলফনামা ছাপিয়ে ভোটারদের মধ্যে বিলি করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!