তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাত, বিচারের আশায় ভুক্তভোগী পরিবার

  • ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৮, ০৪:১০ পিএম
তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাত, বিচারের আশায় ভুক্তভোগী পরিবার

দিনাজপুর : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি যুবকের দ্বারা ছুরিকাঘতের শিকার হয়ে গত ১০ দিন থেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আহত যুবক সাগর হোসেন। আহত সাগর হোসেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাড়ী মঞ্জুপাড়া গ্রামের নুরনবীর ছেলে।

এদিকে গ্রাম্য মাতবরদের চাপে মামলাও করতে পারছে না ভুক্তভোগী ওই পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ জুন বিকাল সাড়ে ৪টায়। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সন্নিকটে নবাবগঞ্জ উপজেলার ১নং জয়পুর ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী গ্রামে।

ছুরিকাঘাতের শিকার সাগর হোসেন পিতা নুরনবী বলেন, তার ছেলে সাগর হোসেন তাদের পার্শ্ববর্তী দামোদরপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শফিউল ইসলামের নিকট টাকা পাওনা ছিল, সেই পাওনা টাকা চাইতে গেলে শফিউল ইসলাম ও তার পিতা আব্দুল হামিদ পরিকল্পিতভাবে টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদের বাড়ির পাশে আম্বীয়ার মোড় নামক বাজারে জনসম্মুখে নাপিতের দোকান থেকে কাঁচি নিয়ে সাগর হোসেনের পেটে ও বুকে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়।

এ সময় স্থানীয় দোকানদারদের সহযোগীতায় সাগর হোসেনকে আহত অবস্থায় ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক সাগর হোসেনের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। সাগর হোসেনের পিতা নুরনবী অভিযোগ করে বলেন, তিনি থানায় মামলা দায়ের করার জন্য গিয়েছিলেন কিন্তু স্থানীয় কিছু মাতবর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার কথা বলে তাকে মামলা করতে দিচ্ছেন না।

আম্বীয়ার মোড়ের সেলুন দোকানদার শ্রী রাম চন্দ্র শীল বলেন, তার দোকানের সামনে সাগর ও শফিউলের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছিল, এরই মধ্যে শফিউল তার দোকানের কাঁচি নিয়ে সাগরকে আঘাত করতে থাকে, সে বাধা দিতে গেলে শফিউল তাকেও কাচি দিয়ে আঘাত করে তবে সে বেশি আহত হয়নি। একই কথা বলেন আম্বীয়ার মোড়ের দোকানদার দেলওয়ার হোসেন।

এই বিষয়ে ছুরিকাঘাতকারী শফিউলের পিতা আব্দুল হামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, তার ছেলে শফিউল ছুরি মেরেছে এই ঘটনা দেখে সে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, তিনি বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করছেন।

এই বিষয়ে জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আইনুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধানকাটার টাকা নিয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য উভায়পক্ষকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আহত সাগর সুস্থ না হওয়ায়, হতাশা দেখা দিয়েছে সাগরের পরিবারের মধ্যে চিকিৎসকরা বলছেন এখন পর্যন্ত আশঙ্কামুক্ত নয় সাগর।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Link copied!