জমে উঠেছে পশুর হাট, দর পতনে দিশেহারা বিক্রেতারা

  • জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০১৮, ০৫:৩৫ পিএম
জমে উঠেছে পশুর হাট, দর পতনে দিশেহারা বিক্রেতারা

ঢাকা : আর মাত্র পাঁচ দিন পরই কাঙ্খিত কোরবানির ঈদ। তাই শেষ মূহুর্তে চুয়াডাঙ্গার পশুর হাটগুলো বেশ জমে উঠেছে। হাটে গরু-ছাগলের আমদানি যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা। তবে প্রথম দিকের চেয়ে শেষ সময়ে এসে হঠাৎ বাজারের চেহারা খানিকটা পাল্টে গেছে। আগের চেয়ে এখন দাম কিছুটা কম। প্রথম দিকের হাট গুলোতে চড়া দামে কোরবানির পশু বেচাকেনা হলেও ঈদের দিন যতই এগিয়ে আসছে দাম যেন ততই নিম্নমুখি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী পশু’র হাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দূর-দূরান্ত থেকে গরু পালনকারী খামারিরা ও ব্যবসায়ীরা ট্রাক, নসিমন, করিমন, পাউয়ারট্রিলারে করে গরু ও ছাগল হাটে নিয়ে আসছেন।

কোরবানির পশু’র বাজারের শেষ মুহূর্তে দর পড়ে যাওয়ায় পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারী ও স্থানীয় ব্যাপারীরা। আমদানির তুলনায় বিক্রি হচ্ছে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দর পড়ে যাচ্ছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের গরু ব্যাপারী আবুল হাসেম শিয়ালমারী পশু হাটে ৫টি মাঝারি আকারের গরু তোলেন। হাটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা উপায়ে চেষ্টা করেও আশানুরূপ দর না মেলায় গরুগুলো বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আবুল হাসেম জানান, এর আগের হাটের ৬০ হাজার টাকার গরু ৫৫ হাজার টাকা, ৫৫ হাজার টাকার গরু ৫০ হাজার টাকা দর উঠেছে।

হাটে গরু বিক্রি করতে আসা সুটিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, দুপুরে গরুর দাম একটু ভালো থাকলেও বিকেলে দাম একেবারে কমে গেছে। তিনি বলেন, তার বাড়ির পোষা একটি গরু ক্রেতারা দুপুরে ৯৫ হাজার টাকা দাম বলেছিলো।

কিন্তু আরো বেশি দামের আশায় ওই সময় গরু বিক্রি না করে সন্ধ্যা পর্যন্ত রেখে দিয়েছি। সন্ধ্যার আগে এক ক্রেতা গরুর দাম ৮০ হাজার টাকা বললেও পরবর্তীতে আর কোনো ক্রেতা না আসায় বাধ্য হয়ে গরু বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে ছাগলের বাজারেরও একই অবস্থা। দুপুরে যে ছাগলের দাম ২০ হাজার টাকা সে ছাগল বিকেলে ১৫ হাজার টাকায় পাওয়া গেছে। গরু-ছাগলের ব্যাপক আমদানিতে শুধু ব্যাপারীরা নয় পালনকারীরাও বিক্রি নিয়ে শংকিত।

তবে গরু-ছাগলের দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা বেজায় খুশি। ছাগল ক্রেতা দত্তনগরের মামুন জোনায়েদ বলেন, প্রায় ২৮ কেজি ওজনের একটি ছাগল ১৭ হাজার টাকায় কিনতে পেরে ভালো লাগছে।

এদিকে হাট মালিকের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় পশু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্তে জেনারেটরের মাধ্যমে লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় সকাল থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুবিধা দেয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!