আদালতে মামলা দায়ের

সাংবাদিকের কাছে চাঁদা দাবি, হত্যার হুমকি

  • এম এ সাইদ খোকন, আমতলী | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮, ১১:৩১ এএম
সাংবাদিকের কাছে চাঁদা দাবি, হত্যার হুমকি

প্রতিকি ছবি

আমতলী (বরগুনা): আমতলীর জ‌্যেষ্ঠ সাংবাদিক খান মতিয়ার রহমানের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসী সিদ্দিকুর রহমান কনু ও তার সহযোগীরা। সন্ত্রাসীদের ভয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক ও তার পরিবারটি।

এ ঘটনায় গতকাল সাংবাদিক খান মতিয়ার রহমান আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মোঃ হুমায়ূন কবির মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন মিলনকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে নতুন বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক ও বর্তমানে ভোরের ডাক পত্রিকার আমতলী প্রতিনিধি খান মতিয়ার রহমান। সাংবাদিক খান মতিয়ার রহমানের স্ত্রী কামরুন্নাহার মুনছুরা ১৯৮৫ সালে জিন্নাত আলী তালুকদারের নিকট থেকে চাওড়া মৌজার ২৪,২৬ ও ২৯ নং খতিয়ানে এক একর ১৬ শতাংশ এবং সাংবাদিক খান মতিয়ার রহমান ১৯৯৩ সালে আবদুর রহমান তালুকদারের নিকট থেকে ২১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।

ওই সময় থেকে সাংবাদিক পরিবার তাদের ক্রয়কৃত জমি ভোগদখল করে আসছে। ওই জমি সন্ত্রাসী সিদ্দিকুর রহমান কনু ও তার ভাই মাইনুদ্দিন সানু দখলের চেষ্টা করে।

গত ২৮ আগষ্ট ওই থেকে ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন সাংবাদিক খান মতিয়ার। এ জমি বিক্রি করার পরে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক খান মতিয়ার রহমানের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা (সন্ত্রাসীরা) সাংবাদিক ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। নিরুপায় হয়ে সাংবাদিক খান মতিয়ার রহমান এ ঘটনার সোমবার বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক মোঃ হুমায়ূন কবির মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলনকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

সাংবাদিক খান মতিয়ার রহমান বলেন, ক্রয়কৃত জমি বিক্রি করলে সন্ত্রাসী সিদ্দিকুর রহমান কনু ও তার ভাই মাইনুদ্দিন সানু আমার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে চাঁদা টাকা দিতে আমি অস্বীকার করায় আমাকে ও আমার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপদে দিনাতিপাত করতে পারছি না। যে কোন সময় আমার উপরে সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের হামলা করতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমি নিরুপায় হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Link copied!