অনৈতিক অবস্থায় ধরা খেয়ে শিক্ষকের দাবি ছাত্রী তার স্ত্রী, অতঃপর গণধোলাই

  • বাগেরহাট প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০১৯, ০৯:৫৯ এএম
অনৈতিক অবস্থায় ধরা খেয়ে শিক্ষকের দাবি ছাত্রী তার স্ত্রী, অতঃপর গণধোলাই

ঢাকা: কলেজছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার রতিয়া, রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষকের নাম মাহফুজুর রহমান প্রিন্স (৪২)। তিনি উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকার মো. সায়েদুর রহমানের ছেলে এবং আমড়াগাছিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক।

খবর পেয়ে শরণখোলা থানা পুলিশ আহত স্কুলশিক্ষক ও এক কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসেন।

জানা যায়, সোমবার দুপুরে ওই স্কুলশিক্ষক রতিয়া, রাজাপুর গ্রামের রাসেল খানের বাড়িতে এক কলেজছাত্রীকে নিয়ে প্রবেশ করেন।

এতে এলকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রিন্স কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীর কয়েকজন নিকট আত্মীয়সহ এলাকাবাসী প্রিন্সকে আমড়াগাছিয়া এলাকায় আটক করে গণধোলাই দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

তবে প্রিন্স দাবি করেন, ওই কলেজ ছাত্রী তার বিবাহিত স্ত্রী। কিছু টাকা নেয়ার জন্য তার সঙ্গে দেখা করতে রাসেল খানের বাড়িতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন।

কিন্তু বিবাহের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।

অপরদিকে, এমন খবরে স্কুল থেকে ওই শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে একই দিন সন্ধ্যায় আমড়াগাছিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অনেকে।

এ বিষয়ে আমড়াগাছিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহীদ হোসেন বাবুল বলেন, বিষয়টি তিনি স্থানীয়দের মুখে শুনেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রিন্সের বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া প্রিন্স ওই ছাত্রীকে বিবাহের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

শরণখোলা থানার ওসি দিলীপ কুমার সরকার জানান, উভয় পরিবারের অভিভাবক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি নিষ্পত্তি করে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে নিয়ে গেছেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Link copied!