ছবি সংগৃহীত
বগুড়া: অনেক আশা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেছিলেন গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার। ১৯ বছর বয়সেই কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সংসার সামলানোর বোঝা। নিয়মিত বাড়ির সব কাজ করেও কপালে জুটত স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন। তাতে সাধ মেটেনি তাদের। শেষ পর্যন্ত বউ সাদিয়াকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে স্বামীর বাড়ির সকলেই পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়ায়।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত সাদিয়া ওই গ্রামের সাব্বির হোসেনের স্ত্রী।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খবর পেয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সাদিয়া আক্তার নামের ওই গৃহবধূর লাশ বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে ছিল। লাশের চোয়ালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূকে হত্যা করে সকলেই পালিয়েছে।
গৃহবধূর পিতা খসরু মিয়া জানান, এক বছর আগে বগারপাড়া গ্রামে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে সাদিয়া আক্তারের বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি সাদিয়ার উপর নির্যাতন করতো। বৃহস্পতিবার সকালে খবর আসে মেয়ের লাশ জামাই বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে রয়েছে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই
আপনার মতামত লিখুন :