ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা

সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

  • রাজশাহী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০১৯, ০৩:২৪ পিএম
সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। আর এর মধ্য দিয়ে ফারুক হত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত সাঈদীর বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এনায়েত কবির সরকার এ চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন। 

এ মামলায় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ মোট ১০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে পলাতক আছেন ৪৬ জন। এছাড়া জামিনে আছেন ৬১ জন, যারা প্রত্যেকেই আজ আদালতে হাজির ছিলেন। আদেশ শেষে ১২টা ৫ মিনিটে সাঈদীকে আদালত থেকে বের করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

এ বিষয়ে মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী আবু ইউসুফ মোহাম্মদ সেলিম জানান, প্রথমে এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ৩৫ জন যেখানে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম ছিল না। পরে পুলিশি তদন্তে তাকে এ হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করছেন ওই আদালতের এপিপি শিরাজী শওকত সালেহীন। আর আসামিপক্ষে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্যানেল এ মামলা লড়ছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালতে মামলার শুনানি চলছে।

এর আগে জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে গত সপ্তাহেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। এর পর বিষয়টি গোপন রাখা হয়। তবে বৃহস্পতিবারের হাজিরা উপলক্ষে আগের দিন বুধবার থেকেই আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল দখল নিয়ে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা। ওই সংঘর্ষে শিবিরের কর্মীরা ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে খুন করে মরদেহ শাহ মখদুম হলের পেছনের ম্যানহলে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করা হয়। ওই রাতে ছাত্রলীগের আরও তিন কর্মীর হাত-পায়ের রগও কেটে দেয় হামলাকারীরা। পরদিন এ নিয়ে নগরীর মতিহার থানায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩৫ শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

এরপর ওই মামলার হুকুমের আসামি করা হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ বেশ কয়েকজনকে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিজামী ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। ২০১২ সালের ৩০ জুলাই নগরীর রাজপাড়া থানার তৎকালীন ওসি জিল্লুর রহমান মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Link copied!