দেশে ধর্ষণ মামলায় প্রথম ফাঁসির আদেশ

  • টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২০, ১২:৪৫ পিএম
দেশে ধর্ষণ মামলায় প্রথম ফাঁসির আদেশ

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২০১২ সালে মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর গণধর্ষণ মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত  প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাগর চন্দ্র, সুজন মনি ঋষি, রাজন, সনজিৎ এবং গোপি চন্দ্র শীল। এর মধ্যে সনজিৎ এবং গোপি চন্দ্র শীলকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা রয়েছে। তবে বাকিরা এখনও পলাতক। 

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে ভূঞাপুরে এক নারীকে অপহরণের পর গণধর্ষণে ঘটনা ঘটে। রায় ঘোষণার সময় সঞ্জিত ও গোপি চন্দ্র শীল নামে দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি জামিন নিয়ে পলাতক।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্ষণ মামলায় প্রথম ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা

এর আগে ১৩ অক্টোবর অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করার পর এটাই ধর্ষণ মামলায় দেশে কোনো মৃত্যুদণ্ডাদেশের প্রথম আদেশ। এরও আগে ১২ অক্টোবর বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।

এর পরদিন এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশে সই করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, যার ফলে সংশোধিত আইনটি কার্যকর হয়েছে।

বাংলাদেশে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যুর শাস্তি প্রসঙ্গে ৯(১) ধারায় এতদিন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

তবে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দল বেধে ধর্ষণের ঘটনায় নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা আহত হলে, সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম এক লক্ষ টাকা করে অর্থ দণ্ডের বিধানও রয়েছে।

সেই আইনে পরিবর্তন এনে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থদণ্ডের বিধানও থাকছে। এর ফলে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেয়া সপ্তম দেশ হলো বাংলাদেশ।

সোনালীনিউজ/এএস

Link copied!