খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

রাষ্ট্রদ্রোহ, দুর্নীতি ও নাশকতাসহ ৬ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। 

এছাড়া একই দিন মিরপুর দারুস সালাম থানার নাশকতার পাঁচ মামলায়ও খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ধার্য দিন ছিল। কিন্তু তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াকে আগামী ১ ডিসেম্বর হাজিরের নির্দেশ দেন। 

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’ 

তিনি বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’ 

খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। 

নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান তিনি। এরপর ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার আদালতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ১২৩ এর ‘ক’, ১২৪ এর ‘ক’ ও ৫০৫ ধারায় পিটিশন মামলা করেন।  

৩ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল এ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন খালেদা জিয়া।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি