চুয়াডাঙ্গা: জেলায় স্ত্রী তাহমিনা খাতুনকে গলাকেটে হত্যার দায়ে স্বামী মো. আকাশ ওরফে মিঠুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আকাশ ওরফে মিঠু জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের কুঠিপাড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
মামলা সূত্র জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোহাম্মদ জুম্মা গ্রামে স্ত্রী তাহমিনা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী আকাশ। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা সবেদ আলী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় জামায় আকাশ ওরফে মিঠুর নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পরদিন পুলিশ আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে মিঠুকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের এসআই মাসুদ পারভেজ এ মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্ত আকাশ ওরফে মিঠুর নামে একই বছরের ১০ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আকাশকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
নিহতের মা জাহানার বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তার মেয়ে তহমিনাকে নানা ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো মিঠু। যৌতুক না পেয়ে বিয়ের ছয় মাসের মাথায় মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করে মিঠু। আদালতের রায়ে জাহানারা খাতুন ও তার পরিবার খুশি বলে জানান তিনি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ও আসামি পক্ষে পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দীন খান ও অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :