জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা-তারেকের খালাসের রায় প্রকাশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা-তারেকের খালাসের রায় প্রকাশ

ফাইল ছবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ৫৯ পৃষ্ঠার এই রায়টি লিখেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দেন। আদালতে আপিলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন জাকির হোসেন ভুঁইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ। কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও অনীক আর হক, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

রায়ের পরদিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এই মামলায় কোনো সারবত্তা ছিল না। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় ছিল বিদ্বেষমূলক এবং প্রতিহিংসার প্রতিফলন। তিনি বলেন, আদালত আপিল মঞ্জুর করে আগের সব রায় বাতিল করেছেন এবং যারা আপিল করতে পারেননি-তারেক রহমানসহ তাদেরও খালাস দিয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, মামলাটি বিদ্বেষপূর্ণ হওয়ায় আপিল বিভাগ সব আপিল মঞ্জুর করেছেন। শুধু খালেদা জিয়া নয়, তারেক রহমান ও কামাল সিদ্দিকীসহ সবাই খালাস পেয়েছেন।

গত বছরের ১১ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন। পরে খালেদা জিয়া আপিল করেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক আমলা কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পরে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন। একই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

আপিল বিভাগের রায়ে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের সব রায় বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যারা আপিল করতে পারেননি, তারাও খালাস পেয়েছেন। দীর্ঘ সাত বছর পর এই রায়ের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটল বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার।

এসএইচ 
 

Link copied!