জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হবে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে।
এর আগে আজ সোমবার সকাল ৯টায় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় মামলার অন্যতম আসামি ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। বর্তমানে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
রোববার মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে। ওই দিনই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গতকাল প্রথম সাক্ষী হিসেবে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ সাক্ষ্য দেন এবং ওই দিনের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনাকে ‘গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে অভিযুক্ত করেন।
এ মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান কামাল এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালের জুলাই ও আগস্টে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর দমন-পীড়নের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় ১৪ শতাধিক ছাত্র-জনতা নিহত হন, যার জন্য উসকানি, নির্দেশনা, প্ররোচনা এবং হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন তারা।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি প্রধান অভিযোগের মধ্যে রয়েছে: ১৪ জুলাই শিক্ষার্থীদের “রাজাকারের বাচ্চা” বলে অভিহিত করা, হেলিকপ্টার থেকে গুলির নির্দেশ দেওয়া, রংপুরে ছাত্রনেতা আবু সাঈদের হত্যা, চানখারপুলে আনাসসহ ৬ শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা, আশুলিয়ায় ৬টি মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা।
এসব ঘটনায় প্ররোচনা, উসকানি, অপরাধ প্রতিরোধে ব্যর্থতা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওএফ
আপনার মতামত লিখুন :