জিজ্ঞাসাবাদের সময় র‍্যাব কর্মকর্তাদের সাহেদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২০, ০৪:১৪ পিএম
জিজ্ঞাসাবাদের সময় র‍্যাব কর্মকর্তাদের সাহেদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। বুধবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনার পর সাহেদকে প্রথমে র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাহেদ অনেকটা নির্ভার ছিলেন। এ সময় বেশ কয়েকবার দম্ভোক্তি করেন তিনি।

আরো পড়ুন : যেভাবে গ্রেফতার হলেন সাহেদ

এ সময় র‍্যাব কর্মকর্তাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সাহেদ বলেন, ‘আমাকে ছয় মাসের বেশি সময় আটকে রাখা যাবে না।’ নিজের পত্রিকার লাইসেন্স আছে উল্লেখ করে যেসব সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদকর্মীরা তার ছবি তুলছে এবং সংবাদ প্রকাশ করছে তাদেরও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

আরো পড়ুন: শাহেদের বাসা থেকে বেড়িয়ে এলো প্রতারণার আরেক ফাঁদ

এ বিষয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাহেদ একজন ঠান্ডা মাথার প্রতারক। তিনি আগেও জেলে গেছেন। ফলে আইনি বিষয়গুলো তার ভালোভাবেই জানা। সে নানা সময় নানা কথা বলছে। বিভ্রান্তিকর তথ্যও দিচ্ছে।’

এদিকে, রিজেন্ট গ্রুপের সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি ও অবৈধ সম্পদের বিষয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলা করবে দুদক, সে ক্ষেত্রে সরকারী কর্মকর্তারাও আসামী হতে পারেন। সংশ্লিষ্টদের কাউকে ছাড় দেয় হবে না জানান, দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হলে আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনে ১০ বছরের সাজার কথা বলা আছে।  অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করলে দন্ডবিধিতে যাবজ্জীবন সাজার কথাও আছে।

আরো পড়ুন : সাহেদ বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে

প্রসঙ্গত, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে র‌্যাব। রাজধানীর উত্তরায় সাহেদের দুই নম্বর অফিসে এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে ১২টার দিকে সাহেদকে নিয়ে সেখানে যায় র‌্যাব। পরে দেড়টার দিকে তাকে র‌্যাবের সদর দপ্তরে আনা হয়। সাহেদ করিমকে ভারতে পার করে দিতে ৫০ লাখ টাকায় রফা করেছিলেন আশ্রয়দাতা আল ফেরদৌস আলফা। এজন্য নিজের মাছের ঘেরে সুসজ্জিত এসি ঘরে চার দিন সাহেদকে রেখেছিলেন তিনি। এর মধ্যেই আলফা ব্যবস্থা করেছেন নৌকা ও মাঝি।

পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের হাতে সাহেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্রের মাধ্যমে এসব তথ্য জানা গেছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Link copied!