১৭ পণ্য নিষিদ্ধ করলো বিএসটিআই (তালিকাসহ)

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২০, ০৭:৪৫ পিএম
১৭ পণ্য নিষিদ্ধ করলো বিএসটিআই (তালিকাসহ)

ঢাকা: নিম্নমানের হওয়ায় ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৭টি পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে বিএসটিআই সম্পাদক মঈনুদ্দীন মিয়া’র পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নিষিদ্ধ হওয়া ১৭টি পণ্য হচ্ছে চট্টগ্রামের কল্পনা কমোডিটিস কোম্পানির এপি-১ ব্র্যান্ডের ঘি, চট্টগ্রামের চিটাগাং ফ্লাওয়ার মিলস-এর অ্যাংকর ব্র্যান্ডের সুজি, যশোরের আল আমিন বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারির আল আমিন ব্র্যান্ডের লজেন্স, ঢাকার মি. বেকার অ্যান্ড পেস্ট্রি শপের মি. বেকার ব্র্যান্ডের বিস্কুট, ফরিদপুরের সেফ ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবা ব্র্যান্ডের চিপস (পটেটো), কক্সবাজারের রিয়াদ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বঙ্গ ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, রাজশাহী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের আর এম ব্র্যান্ডের ঘি, বগুড়ার জিনিয়াস সেফ ফুড অ্যান্ড কনজ্যুমারের জিনিয়াস স্পেশাল ব্র্যান্ডের ঘি, সয়াবিন তেল ও হলুদের গুড়া; বগুড়ার সীমা ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেডের সীমা ব্র্যান্ডের সুজি, গাজীপুরের জি এম ফুড প্রোডাক্টের এবি-১ ব্র্যান্ডের বাটার অয়েল ও রাজা ব্র্যান্ডের ঘি, গাজীপুরের শাহ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্টের নুরজাহান ব্র্যান্ডের বাটার, শরীয়তপুরের মাদার ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টের বেস্ট-১ ব্র্যান্ডের ঘি, মৌলভীবাজারের শাহী ফুড প্রোডাক্টের শমসের নগর শাহী ব্র্যান্ডের ঘি এবং একিটি নাম ঠিকানা বিহীন ড্রামের লুজ সয়াবিন তেল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খোলাবাজার থেকে সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করে পণ্য ক্রয় করে বিএসটিআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে বাংলাদেশ মান (বিডিএস) এর থেকে নিম্নমানের পাওয়ায় এসকল পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশের পাশাপাশি পরবর্তীতে এসব পণ্যের মানোন্নয়ন করে পুনরায় অনুমোদন নেওয়া ছাড়া সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের বিক্রি-বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার হতে বিরত থাকা এবং উৎপাদনকারীদের বাজার থেকে বিক্রিত মালামাল প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষায় অসাধু ব্যবসায়ী-বিক্রেতারা যাতে ভেজাল/নিম্নমানের খাদ্যপণ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিপণন হতে বিরত থাকে সে লক্ষ্যে আগে থেকেই নজরদারি জোরদার করা হয়। এ বছর রমজান মাসে ভেজালমুক্ত পণ্য সরবরাহ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২ মাসে ইফতার ও সেহরির সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে সংগ্রহ করে বিএসটিআই’র ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২ মাসে মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫২১টি, পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫৩টি। এতে মানসম্মত নমুনা পাওয়া গিয়েছে ২৩৬টি, নিম্নমানের নমুনা ১৭টি এবং পরীক্ষাধীন রয়েছে আরও ২৬৮ টি নমুনা।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Link copied!